4:05 pm , March 30, 2023
স্বরূপকাঠি প্রতিবেদক ॥ স্বরূপকাঠি উপজেলার ব্যস্ততম একটি সড়কের নাম জগন্নাথকাঠি (ইন্দুরহাট ফেরীঘাট )- চাঁদকাঠি সড়ক। উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের প্রধান সড়ক এটি। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানা খন্দের। এ সড়কের ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ১৪ কিলোমিটারের বেহাল অবস্থা। দুই বছর আগে দুই প্রান্তে মাত্র দুই কিলোমিটারের সংষ্কার কাজ করানো হয়। বাকী সড়কে দীর্ঘদিন সংষ্কার না করায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলাচল করছে। সোহাগদল গ্রামের অটোচালক সোহরাব হোসেন বলেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে যানবাহন চালাতে আরো দুর্বিসহ হবে। এ নিয়ে মানুষের মাঝে ক্ষোভ বাড়ছে।
জানাগেছে, ইন্দুরহাট বন্দরের সাথে জেলা শহর পিরোজপুর, নাজিরপুর উপজেলা ও খুলনা শহরে যাতায়াতের সহজ মাধ্যম হলো জগন্নাথকাঠি- চাঁদকাঠি সড়ক । এছাড়াও সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড়ের ছয় ইউনিয়নের মানুষকে স্বরূপকাঠি উপজেলা সদর ও বিভাগীয় শহর বরিশালে যাতায়াতের জন্য এ সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। প্রতিদিন এ সড়কে চার শতাধিক অটো গাড়ি, টমটম ও ৫/৬শ মোটরসাইকেলে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। জনগুরুত্বপূর্ন এ সড়কটির বেশিরভাগ জায়গায় গত তিন বছরেও কোনো মেরামত কাজ না করায় সড়কের কার্পেটিং ওঠে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানা খন্দের। ওই সড়কের সনি সিনেমা হল থেকে গুয়ারেখা ইউনিয়নের বাটনাতলা পর্যন্ত ১২-১৪ কিলোমিটারের অবস্থা খুবই খারাপ। সড়কটিতে মেরামত কাজ করা হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শেখ মো.তৌফিক আজিজ বলেন, চাঁদকাঠির কালিগঙ্গা নদীতে ব্রীজ নির্মান কাজ চলমান রয়েছে । এ কারনে “সড়ক প্রশস্ত করণ প্রকল্পের আওতায়” ওই সড়কের দুই পার্শ্বে ৬ফুট চওড়া করা এবং পূর্ণাঙ্গ মেরামত কাজ করার জন্য একটি প্রাক্কলন তৈরী করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। প্রাক্কলন অনুমোদন ও টাকা বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু করা হবে।