3:14 pm , March 29, 2023

রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি ঃ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রাখায় চরম বিপাকে পড়েছেন আগত রোগীরা। রহস্যজনক কারণে প্যাথলজি কার্যক্রম চালু না করে বন্ধ রাখা হয়েছে। হয়রানীর পাশাপাশি অধিক পরিমানে অর্থের বিনিময়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হচ্ছে বাইরে থেকে।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে ১০ মার্চ থেকে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর পর্যায়ক্রমে সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীরা। বিশেষ করে বৃদ্ধ, নারী ও শিশু রোগীরা হাসপাতালের ভিতরে পরীক্ষার কার্যক্রম করাতে না পারায় বেশি হয়রানীর শিকার হচ্ছে। অসুস্থ্য অবস্থায় বাইরে গিয়ে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এছাড়াও সরকারিভাবে এখানে অল্প টাকায় পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে না পারায় রোগীদের বাইরে তিন গুণ বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। অনেকের সাধ্যে না কুলানোর কারণে পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো সম্ভব হচ্ছেনা।
হাসপাতালের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, প্যাথলজি বিভাগের কেমিক্যাল সরঞ্জামাদি সরবরাহের জন্য টেন্ডার কার্যক্রম শেষ হয়েছে গত মাসে। এরপর ঠিকাদরকে কার্যাদেশ না দেয়ায় এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানাযায়। গত ১১ মার্চ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের নতুন তত্ত্বাবধায়ক শামিম আহমেদ যোগদান করে কার্যাদেশ না দেয়ায় এ জটিলতা তৈরী হয়। এ অবস্থায় হাসপাতালের পুরো প্যাথলজি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামিম আহমেদ জানান, আমি কার্যাদেশ না দেয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টির তথ্য সঠিক নয়। কার্যাদেশ দেয়ার আগে প্রশাসনিক অনুমোদন প্রয়োজন । স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন না পাওয়ায় কার্যাদেশ দিতে পারছিনা। তবে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যেই অনুমোদন পেলে কার্যাদেশ দেয়া হবে। প্রতিবছর কার্যাদেশ নিয়ে এরকম জটিলতা সৃষ্টি হয়না এবার হলো কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে থাকাকালীন এই টেন্ডারের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রেখে এসেছি। কিন্তু তারপরেও কেন কার্যাদেশ দিচ্ছে না সেটা আমি কিভাবে বলবো।