3:27 pm , March 28, 2023

মুফতি মাওঃ ডাঃ এম এ ছালাম ॥ হে মুমিনগণ! আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) রমজানের রোজার গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে ভাষণ দান করেছেন। হযরত সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসে রয়েছে যে, প্রিয় নবী (সাঃ) শাবানের ২৯ তারিখে এক ভাষণ দানকরেন। তাতে তিনি ইরশাদ করেনঃ হে লোক সকল, একটি বরকতময় রাত তোমাদের দ্বারে সমুপস্থিত। এই মাসে এমনি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত রয়েছে, যে রাতের ইবাদাত হাজার রাতের ইবাদাতের চেয়েও উত্তম। আল্লাহ পাক এ মাসের রোজা ফরজ করেছেন। এই মাসের রাতে বন্দেগী করা অতি সওয়াবের কাজ। এ মাসে কোন লোক যদি কোনও নফল ইবাদাত করে তবে তার সওয়াব বা শুভ পরিনতি হবে অন্য মাসের ফরজের সমতুল্য আর এ মাসের ফরজের সওয়াব অন্যান্য মাসের সত্তরটি ফরজের সমতুল্য। এই মাস নবর বা ধৈর্যের আর ধৈর্যের প্রতিদান হলো বেহেশত। এই মাস পরস্পরের মধ্যে সদ্ব্যাবহার করার ও সকলের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশের। এই মাসে মুমিনের রিজিক বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে তার গুণাহ মাফ করে দেয়া হবে এবং তাকে দোযখ থেকে নাজাত দেয়া হবে। এতে ইফতারকারী বা রোজাদারের সওয়াবের কোন কমতি হয় না। উপস্থিত সাহাবায়ে কেরাম গণ আরজ করলেনঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সকলে রোজাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ রাখে না। প্রিয়নবী (সাঃ) এরশাদ করেন করলেন, শুধু একটি খেজুর বা একটু দুধ বা পানি দ্বারা ইফতার করানোই যথেষ্ট হবে। এই মাহে রমজানের প্রথম দশদিন রহমতের, দ্বিতীয় দশ দিন মাগফিরাত আর তৃতীয় দশ দিন দোজখ থেকে মুক্তিলাভের। যে ব্যক্তি তার অধীনস্ত লোকদের প্রতি সদ্ব্যবহার করে তার গুনাহ সমূহ মাফ করে দেয়া হয়। আসুন, অধিক পরিমাণে ইবাদত করে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করি। আমীন। (চলবে)