3:48 pm , March 27, 2023

তালিকায় নেই বরিশালের কোন হাসপাতাল
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আগামী ৩০ মার্চ থেকে চিকিৎসকরা নিজ হাসপাতালে শুরু হচ্ছে চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সরকারি চিকিৎসকদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ জেলা ও ২০ টি উপজেলা স্বাস্থ্য হাসপাতালে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। তবে সে তালিকায় নেই বরিশালের কোন হাসপাতাল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ এইচ এম সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের জন্য যে কয়টি হাসপাতাল সিলেক্ট করা হয়েছে তার মধ্যে শেবাচিম হাসপাতাল নেই। এছাড়া যতদূর জানি বরিশাল বিভাগের কোন হাসপাতাল এই তালিকায় নেই। জানা গেছে, যে ৩০ টি হাসপাতালে এ কার্যক্রম শুরু হবে তা বেশীর ভাগ ঢাকা বিভাগের মধ্যে।
সোমবার ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে ১০টি জেলা হাসপাতালে এবং ২০ উপজেলা হাসপাতালে পাইলটিংভাবে এ কার্যক্রম শুরু হবে। বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত সেবা দেবেন চিকিৎসকরা। তিনি বলেন, মার্চ থেকেই সরকারি চিকিৎসকদের ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরুর কথা বলেছিলাম। কিন্তু এখন ৩০ মার্চ থেকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস চালুর চেষ্টা করছি। প্রথমে কয়েকটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে এ কার্যক্রম শুরু করবো। তিনি বলেন, বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত সেখানে প্র্যাকটিস করতে পারবেন চিকিৎসকরা। এতে নার্স ও টেকনিশিয়ানরাও সপ্তাহে দুদিন করে কাজ করবেন। তারা যে সেবা দেবেন, তার বিনিময়ে তাদের সম্মানী নির্ধারণ করা হয়েছে। তার একটি অংশ পাবেন চিকিৎসকরা। সরকারও একটি অংশ পাবে। মন্ত্রী বলেন, আমরা দু-তিন মাস ধরে ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস নিয়ে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল, এ টার্মের শুরুতেই ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু করা হোক। কিন্তু ডেঙ্গু ও করোনার কারণে শুরু করতে পারিনি। কিন্তু এখন আমরা ধীরে ধীরে সব জেলা ও উপজেলায় শুরু করবো। জাহিদ মালেক বলেন, চিকিৎসকরা সপ্তাহে দুদিন করে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের আওতায় রোগী দেখবেন। প্রাইভেট প্র্যাকটিসের আওতায় রোগী দেখাতে অধ্যাপককে ৫০০ টাকা, সহযোগী অধ্যাপককে ৪০০, সহকারী অধ্যাপককে ৩০০ এবং অন্য চিকিৎসককে ২০০ টাকা করে ফি দিতে হবে। এসব ফি থেকে অধ্যাপকরা ৪০০ টাকা, সহযোগী অধ্যাপকরা ৩০০, সহকারী অধ্যাপকরা ২০০ এবং অন্য চিকিৎসকরা ১৫০ টাকা করে পাবেন। বাকি টাকা সার্ভিস চার্জ বাবদ কাটা হবে এবং চিকিৎসকদের সহায়তাকারীরা পাবেন।