4:13 pm , March 22, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরী থেকে নিখোঁজ মানসিক প্রতিবন্ধীর ফোন থেকে ভারতীয় পরিচয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তি পরিবারের কাছে অর্ধলাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। এমন অভিযোগে মহানগর পুলিশের কাউনিয়া থানায় সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেছে নিখোঁজ ব্যক্তির বাবা। গত ১৬ মার্চ টাকা দাবি করার পর কাউনিয়া থানায় জিডি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিবন্ধীর বাবা মালেক সরদার। নিখোঁজ প্রতিবন্ধী হলো রাকিব সরদার (৩৫)। সে নগরীর কাউনিয়া প্রথম গলি বাশতলা এলাকার মালেক সরদারের ছেলে। রাকিব পেশায় টাইলস মিস্ত্রি। দুই সন্তানের জনক সে। তার বাবা মালেক সরদার বলেন, গত ১৫ মার্চ বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরের দিন ১৬ মার্চ বিকেলে রাকিবের মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে অজ্ঞাত এক লোক তাকে কল করে। অপরিচিত ওই লোক জানান ‘ ভারতের বড় সাইবে ধরছে এখন আমার কাছে আছে ৫০ হাজার টাকা পাঠান। না হলে ভারতের কারাগারে পাঠানো হবে।
মালেক সরদার বলেন, এ ঘটনায় কাউনিয়া থানায় জিডি করা হয়। ১৭ মার্চ ফোন করে আবারও টাকা চায়। তখন তিনি গরীব টাকা দেয়ার সামর্থ্য নেই জানান। এক পর্যায়ে ২০ হাজার টাকা দাবি করে।
বিষয়টি নগরীর ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর একেএম মতুর্জা আবেদীনকেও জানিয়েছেন। কাউন্সিলর ফোন করা ব্যক্তির সাথে কথা বলেছেন।
থানায় থাকা অবস্থায় কল করায় জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার এসআই শাহজালাল মল্লিকও ওই ব্যক্তির সাথে কথা বলেছেন। এরপর পাঠিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেছিলো ওই ব্যক্তি। এ জন্য ভাড়া হিসেবে রাকিবের বিকাশ নম্বরে এক হাজার টাকাও পাঠিয়েছেন। কিন্তু এরপর থেকে রাকিবের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
রাকিবের স্ত্রী রাহিমা বেগম জানান, তার স্বামীর মানসিক সমস্যা রয়েছে। এর আগেও দুইবার সে নিখোঁজ হয়েছিলো। কিন্তু এ ধরণের পরিস্থিতি কখনো হয়নি।
কাউন্সিলর একেএম মতুর্জা আবেদীন বলেন, রাকিবের মোবাইল দিয়ে অপরিচিত একজন তার সাথে কথা বলেছে। ভারতীয় বাংলা উচ্চারনে কথা বলা ওই ব্যক্তি বলেছেন, মেজর স্যারে আসার আগে ছেড়ে দেব। কিছু টাকা পাঠান।
কাউন্সিলর বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরেছে এমনভাবে কথা বললেও বিষয়টি বিশ্বাস হচ্ছে না। হয়তো যশোর অঞ্চলের কোথাও রয়েছে। কাউনিয়া থানার এসআই শাহজালাল মল্লিক বলেন, নিখোঁজ রাকিবের মানসিক সমস্যা রয়েছে। এরআগেও একাধিকবার এভাবে চলে গেছে। আবার ফিরে এসেছে। তার নম্বর দিয়ে কেউ কথা বলেছে ও টাকা চেয়েছে। তার বাবাসহ সকলকে বলেছি কোন টাকা না দিতে। এরপরে টাকা দিয়েছে। এরপর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ যশোরের শার্শা এলাকায় অবস্থান ছিলো তার। মোবাইল ফোন বন্ধ করায় এখন অবস্থান চিহিৃত করতে পারছি না। তদন্ত চলছে। উদ্ধার হবে।