3:30 pm , March 21, 2023
কলাপাড়া প্রতিবেদক ॥ কলাপাড়া পৌরসভার একটি সড়ক দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার এবং আলম খান সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ৩০টি পরিবারের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, খেপুপাড়া মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস সরকারি কলেজ রোডের সঙ্গে সংযুক্ত উত্তরমুখী হামিদ মুন্সীর বাড়ির দিকের বাসিন্দাদের চলাচলের ১০ ফুট প্রস্থ এই সড়কটির অন্তত ৫-৬ ফুট দখল করে দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে পৌরসভার মাধ্যমে নির্মানাধিক সড়কের মাত্র ৩ ফুট অবশিষ্ট রয়েছে। বাকি রাস্তা দখল করে প্রাচীর নির্মান করা হয়েছে। এর ফলে সেখানকার ৩০ পরিবারের মানুষ চলাচলে নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে।
ভুক্তভোগীদের পক্ষে স্থানীয় বাসিন্দা হেনা ইসলামসহ ৩০ পরিবার তাদের লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, খেপুপাড়া মৌজার বিএস ৯৪৫৭ নম্বর দাগের এই রাস্তাটি দখল করে দেয়াল নির্মাণের কাজ বন্ধের জন্য পৌরসভার মেয়রসহ বিভিন্ন মহলে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না। হেনা ইসলাম দাবি করেছেন, আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার এবং তার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল ইসলাম আশিক তালুকদার প্রভাব খাটিয়ে তার পরিবার এই দখল কার্যক্রমের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন।
এ ব্যাপারে ফয়জুল ইসলাম আশিক তালুকদার জানান, তাদের ভোগদখলীয় জমির মধ্যে রয়েছি। রাস্তা দখল করিনি। অন্যরা রাস্তা দখল করে প্রাচীর দিয়েছে। তাদের রেকর্ডীয় আরও ১৫ শতাংশ জমি ঘাটতি রয়েছে। এ নিয়ে মামলা করা হয়েছে। ভাবমুর্তি ক্ষুন্নের জন্য এমন মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
অপর অভিযুক্ত আলম খানের ভাই শাহীন খান জানান, তারাও তাদের রেকর্ডীয় জমির মধ্যে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া পৌরসভার আট নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুর লতিফ খালাসী জানান, সরেজমিনে গিয়ে দেখিছি। আলম এর দেয়াল এক থেকে দেড়ফুট রাস্তার মধ্যে এসেছে। এছাড়া নতুন করে আশিক তালুকদার দেয়াল নির্মান করায় ওই রাস্তাটি দিয়ে একটি রিক্সা যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এছাড়া ওই রাস্তাটি করতে হলে কমপক্ষে ৮ ফুট লাগবে। কিন্তু এখন সেই পরিমান না থাকার কারনে ওই রাস্তাটি পৌরসভার উদ্যোগে উন্নয়ন করা যাচ্ছে না। এরফলে স্থানীয় বাসিন্দার বর্ষা মৌসুমসহ সকল মৌসুমে চলাচলে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন।
কলাপাড়া পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।