4:07 pm , March 20, 2023
কেএম আজাদ রহমান, আগৈলঝাড়া ॥ আগৈলঝাড়ায় পয়সারহাট খালের উপর ঝুকিপূর্ন ব্রীজ দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজন চলাচল করছে। ব্রীজের মাঝে ভীম ভেঙ্গে গিয়ে ঝুকিপূর্ন হয়ে পরেছে ব্রীজটি। এতে পসারহাট বন্দরে মালামাল আনা নেওয়ার ভোগান্তিতে পরেছে ব্যবয়াদীরা। জানা গেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের পয়সারহাট বন্দর ও পয়সা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ সংলগ্ন প্রায় দুইশত ফুট ল¤া^ ব্রীজটি ২০০২ সালে এলজিইডি বিভাগের অর্থায়নে ১৩টি ভীমের উপর নির্মাণ করা হয়েছিল। ২০২২ সালে মাঝামাঝি সময়ে ব্রীজের মাঝের একটি ভীম ভেঙ্গে গিয়ে ২-৩ ফুট মাঝের অংশ ডেবে গেছে। ওই স্থানের দু-পাশের রেলিং সম্পূর্ন ভেঙ্গে গেছে। স্থানীয়রা ব্রীজের ডেবে যাওয়ার স্থানে কাঠের পাঠাতন ও রেলিং এ বাঁশ দিয়ে কোন রকমে মেরামত করে চলাচল করছে। বিষয়টি স্থানীয়রা এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ জানালে তিনি তাৎক্ষনিক উপজেলা এলজিইডি বিভাগের প্রকৌশলীকে ফোন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপরে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও ব্রীজ সংস্কার না হওয়ায় ব্রীজ সংলগ্ন পয়সা স্কুল এন্ড কলেজ, পয়সা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পয়সা বন্দরের ব্যবসায়ীসহ প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজন জীবনের ঝুকি নিয়ে ওই ব্রীজ দিয়ে চলাচল করছে। উপজেলা এলজিইডি বিভাগ ঝুকিপূর্ন ব্রীজটি পরিদর্শণ করে স্থানীয়দের মাধ্যমে যানবাহন চলাচল না করার জন্য সর্তকিকরণ সাইবোর্ড টানিয়ে দিয়েছেন। ঝুকিপূর্ন ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন আমবৌলা, নিমারপাড়, গোপলসেন, জয়রামপট্রি, কালারবাড়ি, বাগধা, সাতলা, হারতা, বান্ধাবাড়ি, হরিনাহাটি, নাঘরা, কোটালীপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন চলাচল করছে। এই ব্রীজের দক্ষিন পাড়ে গোপালগঞ্জ জেলা-কোটালীপাড়া উপজেলার লোকাল বাস কাউন্টার থাকায় প্রতিদিন অসংখ্য লোকজন জীবনের ঝুকি নিয়ে ব্রীজদিয়ে চলাচল করছে।
এব্যাপারে পয়সার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ সভাপতি মো.ফিরোজ শিকদার বলেন, গত বছর ব্রীজটি ডেবে ঝুকিপূর্ন হয়ে পরেছে। আমরা স্থানীয়রা কাঠ ও বাঁশ দিয়ে মেরামত করে চলাচল করছি। এই ব্রীজের ব্যাপারে স্থানীয় এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে জানানোর পরে তিনি উপজেলা এলজিইডি বিভাগকে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
পয়সা স্কুল ও কলেজের ছাত্র সৈকত শেখের অভিভাবক শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকার ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে আমরা স্কুল শুরুর আগে ও পরে দুঃচিন্তান থাকি। কারন তারা ওই ঝুকিপূর্ন ব্রীজ দিয়ে স্কুলে আসা যাওয়া করে। কখন জানি দূর্ঘটনার স্বীকার হয়ে পরে।
পয়সা বন্দরের ব্যবসায়ী কালাম জিরুল্লাহ ও নুরুল ইসলাম গাইন বলেন, ডেবে যাওয়া ব্রীজদিয়ে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মালামাল আনা-নেওয়া করতে গিয়ে ঝুকির মধ্যে থাকি। ব্রীজটি খুবই ঝুকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। শ্রীর্ঘই মেরামত করা না হলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা।
ওই ব্রীজ দিয়ে যাতায়াত কারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাম্মেল হক হাওলাদার বলেন, এই ব্রীজদিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে আতংকের মধ্যে থাকি। কখন যানি ব্রীজটি ভেঙ্গে পরে।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রবীন্দ্র চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, ব্রীজ ডেবে যাওয়ায় সংবাদ জানতে পেরে আমি তিনবার সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ব্রীজের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি। ব্রীজটি শ্রীর্ঘই মেরামত করা হবে।