3:51 pm , March 19, 2023

মো. জসিম জনি, লালমোহন ॥ ভোলার লালমোহন উপজেলার ভূমি ও গৃহহীনরা কখনও কল্পনাও করতে পারেননি, পাকা ঘরে জীবন কাটবে তাদের। অন্যের জমিতে ঝুপড়ি ঘরে বসত করা এসব মানুষের সেই কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লালমোহনে ১৮০টি উপহারের ঘর আগামী ২২ মার্চ গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালী যুক্ত হয়ে সারাদেশের সাথে একযোগে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন এসব পরিবারের হাতে গৃহের চাবী ও দলিল তুলে দেওয়া হবে। এর আগে লালমোহনে আরো ৫৫০টি পরিবারকে এরকম ঘর দিয়েছেন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের ধাপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে আরো ২২০টি ঘর। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নতুন ঘর পাওয়ার আনন্দে লালমোহনে এই পরিবারগুলোর মাঝে আনন্দ উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। চোখের সামনে নিজের স্বপ্নের ঘর দেখে আনন্দের জোয়ার বইতে শুরু করেছে ঘর পাওয়া পরিবারের মাঝে। তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। ফরাজগঞ্জের মনোয়ারা বেগম জানান, নিজের একটি পাকা ঘর হবে তা কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি। আজ একটি ঘরের মালিক হয়েছি প্রধামন্ত্রীর কারণে।
আশ্রয়ন প্রকল্প দুই এর আওতায় চতূর্থ পর্যায়ে দুইশতক জমিসহ এসব ঘর পাবেন ভূমিহীন ও গৃহহীনরা। মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠা প্রতিটি ঘরের সঙ্গে রয়েছে বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি ও যাতায়াত সড়কের ব্যবস্থা। যা কেবল স্বপ্নই ছিলো এসব পরিবারগুলোর জন্য। অসহায় এসব পরিবারের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেবল ঘরই নয়, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে এসব পরিবারগুলো কে সাবলম্ভী করে তোলার পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনামিকা নজরুল জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করে কাজের গুণগত মান বজায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, অতীতের কোন সরকারই ভূমিহীন ও গৃহহীনদের নিয়ে চিন্তা করেননি। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের পিছিয়ে পড়া এসব মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। যার জন্য নিজ নির্বাচনী এলাকার জনগণের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।