3:48 pm , March 19, 2023

জুয়েল মাহমুদ ॥ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) ইউনিট নিজেই মুমূর্ষু। দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে এনজিওগ্রাম ও হার্টে রিং প্রতিস্থাপন। কিছুদিন পূর্বে ধুমধাম করে হার্টে রিং প্রতিস্থাপনের বিষয়টি চালু হলেও বর্তমানে তা পুরোপুরিই বন্ধ রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র হাসপাতালে হার্টে রিং প্রতিস্থাপন বিষযয়টি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। হাসপালের অব্যবস্থাপনায় হার্টএ্যাটাক হওয়া রোগী ভর্তি হওয়ার পর দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে পারছেন না। সময়মত পরীক্ষা না করতে পারায় অনেক রোগী ঢলে পড়ছেন মৃত্যুর মুখে। বেশীরভাগ রোগী ভর্তি হওয়ার পর বাহির থেকে টেস্ট করাতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগী ও তার স্বজনদের। হাসপাতালের সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সিসিইউ ইউনিটের এসি গুলো নষ্ট হয়ে আছে। তাই প্রচন্ড গরমে রোগীরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এ ব্যাপারে শেবাচিমের সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান শাহীন বলেন এসিগুলো চালু করার বিয়য়ে গণপূর্তকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এসি চালুর ব্যাপারে গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কাজী আবু জিহাদ জানান, বর্তমানে সিসিইউ ইউনিটের এসি নষ্ট হওয়ার কোন চিঠি তারা পাননি। চিকিৎসা নিতে আসা কর্ণকাঠির নয়ন, কলাপাড়ার ইরানসহ একাধিক রোগী জানান, প্রচন্ড গরমের পাশাপাশি ময়লা আবর্জনায় নোংরা রয়েছে ওয়ার্ডটি। পুরো ওয়ার্ডের বেডগুলোতে তেলাপোকার আনাগোনা। মানুষের হইচইর কারণে তাঁরা ঘুমাতে পারছেন না। হার্টের রোগীদের সিসিইউ ইউনিটটি কোলাহলমুক্ত থাকার কথা থাকলেও সেখানে মানা হচ্ছেনা কোন নিয়ম কানুন। এবিষয়ে কার্ডিওলজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ এম সালেহ উদ্দিন জানান দক্ষ টেকনিশিয়ান না থাকায় এনজিওগ্রাম ও হার্টে রিং প্রতিস্থাপন ব্যবস্থা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এসময় তিনি আরও বলেন মেশিনগুলো চালু না রাখতে পারলে কোটি কোটি টাকার মেশিনগুলো সব অচল হয়ে যাবে। তাই হার্টে রিং পরানোর কাজে ব্যবহৃত মেশিনগুলো সচল রাখতে পারদর্শী দক্ষ টেকনিশিয়ান নিয়োগের দ্রুত দাবী জানান তিনি।