বাংলাদেশে সংবাদপত্র অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে -তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশে সংবাদপত্র অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে -তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ - ajkerparibartan.com
বাংলাদেশে সংবাদপত্র অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে -তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

3:45 pm , March 19, 2023

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে সংবাদপত্র অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে। পৃথিবীর অনেক দেশে এ সুযোগ নেই। এখানে সব কিছু সাংবাদিকরা লিখতে পারে। পৃথিবীর অনেক দেশে স্বাধীনতা যেমন আছে তেমনি তাদের কাজ সর্ম্পকে দায়িত্বশীলতা ও রয়েছে। ভুল সংবাদ পরিবেশনের জন্য জরিমানাও গুনতে হয়,শাস্তি পেতে হয়। আমাদের দেশে ভূল সংবাদ বা অসত্য সংবাদের জন্য এখন পর্যন্ত কোন গণমাধ্যমকে জরিমানা গুনতে হয় নাই। মাঝে মধ্য প্রেস কাউন্সিল থেকে দু একটি গণমাধ্যমকে তিরস্কার করে বটে তবে তাদের আর কিছু করার ক্ষমতাও নেই। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পাশাপাশি আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্বশীলতাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
মন্ত্রী গতকাল রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে জাতীয় দৈনিক ‘দেশ বর্তমান’এর নবযাত্রা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পরে মন্ত্রী কেক কেটে দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকার নবযাত্রার শুভ ঘোষনা করেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুরুতেই আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দৈনিক দেশ বর্তমানের প্রধান সম্পাদক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী। ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানান পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক এস এম জমির উদ্দিন।
দৈনিক দেশ বর্তমান’র প্রধান সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা নাসিরুদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্ঠা ও ডেইলি আবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক দেশ বর্তমান সম্পাদক ও প্রকাশক এস এম জমির উদ্দিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম,চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সভাপতি শাহীন উল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ,দেশ বর্তমান পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক লাকি আক্তার,চীফ রিপোর্টার আসিফ সিরাজ,ঢাকা অফিস প্রধান শিবুকান্তি দাশ প্রমুখ।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকার নবযাত্রার শুভ উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে পত্রিকার মালিক, সম্পাদক ও কর্মরতদের প্রতি শুভেচ্ছা জ্ঞাপন। একই সাথে একটি কঠিন সময়ে নতুন এই দৈনিকের আত্মপ্রকাশের সাহস করার জন্য অভিনন্দন জানান।। তিনি বলেন,নতুন পত্রিকায় প্রথমে মালিক পক্ষকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়।যারা পত্রিকা প্রকাশের সাথে যুক্ত থাকেন তারা জানেন কত টাকা ভূর্তকি দিতে হয়।একটি পত্রিকা প্রকাশ করা অনেক সাহসের ব্যাপার।
তিনি বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মেকিং করে ঢাকায় এই দৈনিক প্রকাশ করা হবে।আবার ঢাকা থেকে সারাদেশে বিতরণ করা হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার।গণমাধ্যমের জন্য যুগান্তকারি অনেক কাজ করেছেন। ২০১২ সালে যেখানে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল সাড়ে চার শত সেখানে আজকে সাড়ে বারশ পত্রিকা। যেখানে টিভির সংখ্যা ছিল ১০টি সেখানে আজকে সম্প্রচারেছে ছত্রিশটি। আরো কয়েকটি সম্প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে।এফএমপি রেডিওর লাইসেন্স দেয়া আছে ২৪টি। সম্প্রচারে রয়েছে ১৪-১৫টি।কমিউনিটি রেডিও লাইসেন্স দেয়া আছে ৩ ডজনের মতো। বেশির ভাগই সম্প্রচারে আছে।এগুলোর সাথে অনলাইন পত্রিকাও প্রকাশ হচ্ছে। গত ১৪ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের কাছে ৫ হাজারের মতো আবেদন রয়েছে। ইতিমধ্যে ১২শ অনলাইনের রেজিষ্টেশন দেয়া হয়েছে। এভাবে গণমাধ্যমের বিকাশের পাশাপাশি অনেক গুলো চ্যলেঞ্জও যুক্ত হয়েছে। সে সাথে প্রতিযোগিতাও এসে গেছে। সঠিক ভাবে সংবাদ প্রকাশ করা সবার আগে সব খবর দেয়া।
মন্ত্রী বলেন ,প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে অনেকে মিথ্যা সংবাদও প্রকাশ করছে। অনলাইনের ক্ষেত্রে এসব বেশি হয়। প্রতিযোগিতার সাথে মোকাবেলা করে টিকে থাকা সংবাদ পত্রের জন্য কঠিন চ্যলেঞ্জ এসে গেছে।একটি সংবাদ পত্রকে গণমানুষের সংবাদ পত্র হিসেবে গড়ে তোলা একটি বড় চ্যলেঞ্জ।
মন্ত্রী বলেন, সংবাদপত্র শুধু সংবাদ দেয়ার জন্য নয়। সংবাদপত্র মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়।সমাজ রাষ্ট্র কে কি করছে তা তুলে ধরতে হবে। করণীয় কি তা তুলে ধরতে হবে। দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। একই সময়ে কিশোর যুবক তুরুনদের মনন তৈরীতে ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, আমার ছেলে বেলায় একটু আধটু লেখার অভ্যাস ছিল। পত্রিকায় ছোটদের পাতা গুে লাতে লিখতাম। যেদিন আমার লেখা কবিতা বা ছড়া কোন পত্রিকায় ছাপা হলে সেদিন কি আনন্দ লাগত বলে বোঝাতে পারতাম না। সেই ভালো লাগার অনুভূতি প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই। এখন অনেক ভালো ভালো পত্রিকায় ছোটদের পাতা নেই। রান্না বান্নার খেলাধুলা,বিনোদন সহ নানা কিছুর পাতা আছে কিন্তু ছোটদের পাতা হারিয়ে গেছে। দেশ বর্তমানের কাছে অনুরোধ রাখব সাপ্তাহে না হলে ১৫ দিনে হলেও যেনো ছোটদের জন্য পাতা করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, পত্রিকায় অনেক খবর আসে। কিন্তু রাস্তায় যে পাগলটা পাগলামী করে তার পাগলামীর পেছনে কি খবর আছে তা অনুসন্ধান করে কেউ রিপোর্ট করে না। সে মেয়েটি পরিবার থেকে বিছিন্ন হয়ে নিষিদ্ধ কোন জায়গায় আশ্রয় নেয় তার বেদনার খবর পত্রিকায় আসে না। মন্ত্রী আরো বলেন, অনেক সাংবাদিক মনে করেন খারাপ খবর প্রকাশ পত্রিকার কাটতি বাড়বে। সব ক্ষেত্রে এসব ঠিক নয়।আমাদের দেশে দেখুন, জনসংখ্যা কত গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্য ঘাটতির দেশকে আমরা খাদ্যে উৎবৃদ্ধি করেছি। আজকে পদ্মা সেতু হয়েছে। মেট্রেরেল হয়েছে। মধ্যম আয়ের দেশে উন্নতি হয়েছে। ভালো খবর গুলো ও প্রকাশ করতে হবে। দুলাইনের রাস্তা ৬ লাইন, ৮ লাইন হয়েছে। জীবন যাত্রা মান উন্নতি হয়েছে। ব্যাপক শিল্পয়ান হয়েছে। মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু জমি বাড়েনি। কৃষি জমি কমেছে। ৫ কোটি জনসংখ্যার দেশ ১৭ কোটির দেশ হয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজ থেকে ২০-৩০ বছর আগে ঢাকার বঙ্গবাজার ও চট্রগ্রামে জহুর হকার মার্কেট থেকে পুরানো কাপড় কিনে পড়তাম । এখন বঙ্গবাজার নেই, জহুর হকার মার্কেট ও নেই। মানুষ এখন সারা বছর নতুন কাপড় পড়ে। মার্কেট গুলোতে গামের্ন্টের নতুন কাপড় বিক্রি হয়। বিদেশের বড় বড় শপিং মলে বাংলাদেশের গামের্ন্টের নতুন নতুন কাপড় বিক্রি করা হয়। বিদেশিরা বাংলাদেশের তৈরী করা কাপড় কিনে পড়ে।
মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা মাহমারিতে ভারত হিমশিম খেয়েছে। ১১৭ টি দেশ করোনা টিকা দেয়া শুরু করতে পারেনি। সেখানে বাংলাদেশে সবাইকে বিনামূল্যে টিকা প্রদান শেখ হাসিনা সরকারের বড় সাফল্য। উপমহাদেশে টিকা দেয়া দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পঞ্চম এবং এশিয়ায় প্রথম। এই যে সাফল্য তা জানার অধিকার বাংলাদেশের জনগনের আছে।
তিনি বলেন, আজকে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে শেখ হাসিনার প্রসংসা হয়। বাংলাদেশের অগ্রগতি দেখে তারা দীর্ঘস্বাস ফেলে। সেখানে টেলিভিশনের টকশোতে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়। প্রসংসা হয়।সেখানে ঝড় উঠে। পাকিস্তানের দায়িত্বশীল নেতাদের ব্যর্থতার আলোচনা হয় আর জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সাফল্য নিয়ে প্রসংসা করা হয়। আমাদের টেলিভিশনে শুধু সমালোচনা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে পৃথিবী থমকে গিয়েছে। তখন সমস্ত পৃথিবীর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি রিয়েক্ট করে মাত্র ২০ টি দেশের অর্থনীতি পজিটিভ হয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।২০২১ সালে আমাদেও মাথা পিচু আয় ভারতকে ছাড়িয়েছে।সেটা নিয়ে ভারতে হইচই পড়ে গেলো, ভারতের ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে ঝড় উঠে।কিন্তু আমাদের দেশে প্রসংসার ঝড় উঠে নাই।এটায় বাস্তব। একটা গণমাধ্যমের দায়িত্ব। অবশ্যই ব্যর্থতার কথাও আসবে। যেখানে বিচ্চুতি সেটার কথা ও আসবে গণমাধ্যমে। দেশ বর্তমান সফতার ও ব্যর্থতার কথা প্রচার করবে তবেই মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। তখনই ব্যাতিক্রমি সংবাদপত্র হিসেবে পরিচিতি পাবে।
প্রধানমন্ত্রী সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, মার্চ মাস স্বাধীনতার মাস, এটি ঐতিহাসিক মাস। এই ঐতিহাসিক মাসে দৈনিক দেশ বর্তমান আত্মপ্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, দৈনিক দেশ বর্তমান নতুন কিছু করবে। আগামীদিনেও নতুন কিছু প্রমাণ করার মধ্যদিয়ে তাদের এই যাত্রা আরো সমৃদ্ধ করবে। সংবাদপত্র সহ নানা সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে সাহস করে পত্রিকা প্রকাশের জন্য একজন পেশাজীবী সাংবাদিক হিসাবে দেশ বর্তমান কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, বিদ্যুৎ গ্যাস সহ জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। জীবন-যাত্রার ব্যয় বেড়েছে। এই অবস্থায় সংবাদপত্রের মালিকরা সাংবাদিকদের বেতন দেয়না। ঢাকা-চট্টগ্রামে কিছু সাংবাদিক বেতন পেলেও বাকি প্রায় ৯৫ শতাংশ সাংবাদিক তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হন। বেতন না পেলে তাদের কাছ থেকে কিভাবে ভালো রিপোর্ট বা অনুসন্ধানী রিপোর্ট আশা করা যাবে। এজন্যই অনুসন্ধানী রিপোর্ট হয়না। দেশের আইন অনুযায়ী সাংবাদিকদের নিয়মিত বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য সংবাদপত্র মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম বলেন, পত্রিকা যেন কোনো দলের লিফলেট না হয়। শিশুদের জন্য পাতা রাখার পাশাপাশি ‘দৈনিক দেশ বর্তমান’ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে পাঠকপ্রিয়তা লাভ করবে।
চট্টগ্রাম বিভাগ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক শাহীন উল ইসলাম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য দৈনিক দেশ বর্তমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ বলেন, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে এই পত্রিকা অনন্য ভূমিকা রাখবে।
দৈনিক দেশ বর্তমানের প্রকাশক ও সম্পাদক এস এম জমির উদ্দিন বলেছেন, ‘দৈনিক দেশ বর্তমান’ দেশের সংবাদপত্রের ধারার গতানুগতিক নয়, বরং দেশ গঠনের নবতর প্রত্যয় নিয়ে গণতন্ত্র ও মুক্তচিন্তার প্রবাহমান ধারা আরও শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখতে চায়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ, গড়ে তোলার আকাঙ্খা ব্যক্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারায় চলেছেন, দেশের মানুষকে সে লক্ষ্যে সংগঠিত করতে ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা বেগবান করতে ‘দৈনিক দেশ বর্তমান’ ভূমিকা রাখবে। দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির পাশাপাশি শান্তি, মানুষে মানুষে সম্প্রীতি ও মানবিকবোধে উজ্জিবিত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করব ইনশাল্লাহ।
জমির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের দেশের সংবাদপত্রগুলো অনেক প্রতিকূলতা ও অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার মাঝেও সংবাদপত্র শিল্প সরকারের সুদৃষ্টি থেকে বঞ্চিত হবে না। বরং সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতু হিসেবে সংবাদপত্র কল্যাণমুখী ভূমিকা পালন করে যাবে। সভাপতির বক্তব্যে দৈনিক বর্তমানের প্রধান সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষী, লেখক ও সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, সবাই ঢাকা থেকে জাতীয় পত্রিকা প্রকাশ করে। আমরা একমাত্র চট্টগ্রাম থেকে মেকিং করে ঢাকায় পত্রিকা প্রকাশ করব। আমি আশা করি নতুন কিছু উপহার দিতে পারব। আমাদের এ নব যাত্রায় সবার সহযোগিতা কামনা করি। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় হবে আমাদের পথ চলার আর্দশ।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT