3:33 pm , March 15, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ গলার কাটাই হয়ে থাকলো শের ই বাংলা-মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের প্রবেশ পথে নির্মানাধীন গেট। এক বছরের বেশী সময় পার হলেও শেষ করা সম্ভব হয়নি গেটের নির্মান কাজ। যে কারনে চিকিৎসা নিতে এসে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন করছেন লাখ লাখ রোগী ও তাদের স্বজনরা। খারাপ খবর হচ্ছে সহসাই শেষ হচ্ছে না এই অসহনীয় ভোগান্তি। সম্পূর্ন কাজ শেষ হতে এখনো লেগে যাবে চলমান অর্থ বছর (জুন পর্যন্ত)। গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ বলছেন অর্থ সংকটের কথা। তবে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন অর্থ সংকটই একমাত্র কারন নয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও গণপূর্ত বিভাগের গাফলতি রয়েছে এই পরিস্থিতির জন্য।
গণপূর্ত বিভাগ মেডিকেল শাখার উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ কামাল হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয় অর্থ ছাড় না দিলে আমাদের বা ঠিকাদারের কি করনীয় আছে। ১ কোটিও বেশী টাকার এই কাজের জন্য এখন পর্যন্ত বরাদ্দ পেয়েছি ৪০ লাখের মত তা দিয়ে ৬০ ভাগের বেশী কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এখনো ৫০ লাখের বেশী টাকা বাকি রয়েছে। তবে ভাল খবর হচ্ছে ইতিমধ্যে ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রশাসনিক অনুমোদন হয়েছে। আশা করছি রোজার আগেই তা পেয়ে যাব। এর পর আর বেশী সময় লাগবে না। টেন্ডার আহবান থেকে শুরু করে কিছু অফিসিয়াল প্রক্রিয়া শেষ করে আশা করছি জুনের মধ্যে কাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে পারবো। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে গেট নির্মানের কাজ শুরু হয়। কথা ছিলো ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মান কাজ শেষ হবে। নানা জটিলতা ও সীমাবদ্ধতায় সেটা সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, নির্মাণ কাজ এবং প্রধান সড়ক দুটি বন্ধ থাকায় রোগী, তাদের স্বজন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এটি দ্রুত সমাধানে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে নির্মাণ কাজের তদারকিতে থাকা গণপূর্ত মেডিকেল উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কামাল হোসেন বলেন, গেটটি নির্মাণের জন্য এক কোটি টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুরো টাকা বরাদ্দ পাইনি। গত বছর প্রায় ৪৩ লাখ টাকা নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। এখন আরও ৫০ লাখ প্রয়োজন।