3:36 pm , March 12, 2023
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে ভাটার খাল সংযোগ সেতুটি। যে কোন মুহূর্তে এখানে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের অভিযোগ, এটি দেখার জন্য নগরীতে কেউ নেই। কাউন্সিলর এর কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো ফল হয়নি। কারণ এটি বিআইডব্লিউটিএর জায়গা। আর বিআইডব্লিটিএ কর্তৃপক্ষ বলছেন, ঐ এলাকার নদী তীরবর্তী এলাকা বিআইডব্লিউটিএর হলেও ওখানকার পুল ও বাড়িঘর বা বস্তি এলাকা সিটি করপোরেশনের।
সরেজমিনে রবিবার দুপুরে কীর্তনখোলা নদী তীরবর্তী এলাকা ধরে ডিসিঘাটের দক্ষিণে দুই পা এগোলেই চোখে পড়ে কাঠের ভাঙাচোরা একটি পুল। এটির কয়েক স্থানে জোড়াতালি দেয়া। হাঁটাচলা করতেই কেঁপে ওঠে দূর্বল কাঠ। ওপারে কোষ্টগার্ড , নৌ-পুলিশ ও নগরীর ১০ নং ওয়ার্ড এর প্রায় ৫ হাজার জনবসতির ঈদগাহ কলোনী। সাথে আছে প্রতিদিন নদী তীরবর্তী এলাকায় ঘুরতে আসা হাজারো পর্যটকদের পদচারণা। নৌ-পুলিশ ও কোষ্টগার্ডের কেউ কথা বলতে নারাজ হলেও এখানে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানের ব্যবসায়ীরা বলেন, এটা বিআইডব্লিউটিএর জায়গা। এই ব্রীজ ঠিক করার দায়িত্ব তাদেরই। ছোট ছোট বাচ্চা ও বৃদ্ধদের এই ভাঙা সেতু পার হতে কি কষ্ট তা নিজ চোখে না দেখলে বুঝবেন না।
পাশে দাঁড়ানো মাঝ বয়েসী মহিলা আসমা বেগম বললেন, আমি দুইদিন পড়ে ব্যথা পেয়েছি। আমার প্রতিবেশী এক যুবক সেতু ভেঙে খালে পরে যায়। তার হাত-পা ছিলে গেছে। ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহীদুল্লাহ্ কবীর জানান, পোলটি আমার ১০ নং ওয়ার্ডেরই। পোলটির অবস্থা খুবই খারাপ আমি নিজে দেখে এসেছি। এজন্য সিটি করপোরেশনকে লিখিত আবেদন করেছিলাম। শুনেছি টেন্ডার হয়ে পড়ে আছে। কেন কাজ হচ্ছে না তা জানি না। বিষয়টি সম্পর্কে বিসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন বলে দাবী করেন শহীদুল্লাহ্ কবীর। বরিশাল সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।