4:09 pm , March 6, 2023

স্বরূপকাঠি প্রতিবেদক ॥ স্বরূপকাঠিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার পূর্ব কামারকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থার কারনে বিঘিœত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। অভিযোগে জানাগেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক শিরিন আক্তারসহ অন্যান্য শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের সভাপতি এইচ এম মুনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারা অভিযোগে বলেছেন,বিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তার করে স্বেচ্ছাচারিতা, শ্রেণি কক্ষে পাঠ দানে বিঘœ সৃষ্টি, শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার, তাদের হয়রানি করাসহ উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে স্বার্থ হাসিলের পায়তা করার অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে বিদ্যালয়ের সভাপতি এইচ এম মুনিরুজ্জামান প্রধান শিক্ষিক একটি বড় ধরনের বরাদ্দ থেকে অর্থ অত্মসাতের চেষ্টা করছিলেন বলে শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করেন।
গতকাল সোমবার সকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিন আক্তার অভিযোগ জমা দেওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, এইচ এম মুনিরুজ্জামান সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিধি বহির্ভূত ভাবে কাজ করতে চাপ প্রযোগ করে দাপ্তরিক নানা কাজে অসহযোগীতা করে চলছেন। শিক্ষকরা তা মানতে রাজি না হওয়ায় তার নিজস্ব লোকজন দিয়ে শিক্ষকদের অপমান করাসহ নিজেও শাসিয়ে থাকেন। উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে স্বার্থ আদায়ের লক্ষ্যে নানা প্রকার পায়তারা চালান। তিনি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠানের আয়োজন করার নির্দেশ দিলে ফেব্রুয়ারী মাসে তাদের প্রশিক্ষন দিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সভাপতি হঠাৎ করে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন। সহকারী শিক্ষক রুশিয়া খাতুন অভিযোগ করেন, তিনি তার ইচ্ছা মাফিক বিদ্যালয় পরিচালনা করতে বলেন যা অপমান জনক। তিনি নানা প্রকার সমস্যার সৃষ্টি করছেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এইচএম মুনিরুজ্জান বলেন, বিদ্যালয়ের সরকারী অনুদানের উন্নয়নমূলক একটি বড় কাজের টাকা থেকে প্রধান শিক্ষক আত্মসাতের চেষ্টা করেছিলেন। যা আমার শক্ত অবস্থানের কারনে করতে পারেননি। এ জন্য আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করেছিলাম। তার তদন্তও হয়েছিল। সম্প্রতি স্লিপের টাকা ব্যয়ের জন্য স্বাক্ষর নিতে এসেছিলেন। আমি না জেনে স্বাক্ষর দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক সাজিয়েছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন খালিফা বলেন, শিক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেওয়া একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।