আগৈলঝাড়ায় স্লুইচ গেট সংস্কার না হওয়ার ৩০টি ইরি ব্লকে পানির অভাবে সেচ কাজ ব্যাহত আগৈলঝাড়ায় স্লুইচ গেট সংস্কার না হওয়ার ৩০টি ইরি ব্লকে পানির অভাবে সেচ কাজ ব্যাহত - ajkerparibartan.com
আগৈলঝাড়ায় স্লুইচ গেট সংস্কার না হওয়ার ৩০টি ইরি ব্লকে পানির অভাবে সেচ কাজ ব্যাহত

3:32 pm , March 3, 2023

আগৈলঝাড়া প্রতিবেদক ॥ আগৈলঝাড়ায় একটি স্লুইচ গেট সংস্কার না হওয়ার কারনে এলাকার ৩০টি ইরি ব্লকে পানির অভাবে সেচ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এতে কৃষকরা খালের পানির জন্য জোয়ারের অপেক্ষায় থাকেন, কখন জোয়ার আসবে। ইরি ক্ষেতে সঠিক নিয়মে পানি দিতে না পারায় দু:চিন্তায় ভুগছেন কৃষকরা। স্লুইচ গেট বন্ধ থাকার বিষয়টি একাধিকবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আব্দুস ছালামকে জানালেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ করেছে কৃষকরা। স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গৌরনদী-আগৈলঝাড়া-পয়সারহাট মহাসড়কের বড়মগড়া নামক স্থানে একটি স্লুইচ গেটের কপাট দীর্ঘদিন ধরে অকোজে অবস্থায় পরে রয়েছে। যার কারনে স্লুইচ গেট দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ রয়েছে। একারনে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের বড়মগড়া, জলিরপাড় ও কোদালধোয়াসহ পাশ্ববর্তী এলাকার ৩০টি ইরি ব্লকে পানি দিতে না পারায় প্রায় ২হাজার কৃষকের ১হাজার ৫শত একর ক্ষেতের ফসল নিয়ে দুচিন্তায় রয়েছেন। উত্তর বড়মগড়া গ্রামের স্লুইচগেট সংলগ্ন ইরিব্লকের ম্যানেজার অরবিন্দু অধিকারীর প্রায় ৪২ একর, গোবেন্দিমন্দির সংলগ্ন ইরি ব্লকের ম্যানেজার সুবোধ বাড়ৈর প্রায় ৬৮ একর, একই এলাকার ম্যানেজার দীনবন্ধু শিকারীর প্রায় ৬৩ একর, উত্তর বড়মগড়া গ্রামের জন্বেঞ্জয় বাড়ৈর ৭৩ একর, বড়মগড়ার গ্রামের ইউপি সদস্য অজিত শিকারীর ৪১ একর, জলিরপাড় গ্রামের ইরি ব্লকের ম্যানেজার লিটন ফকিরের ৩৭ একর, একই এলাকার ইরি ব্লক ম্যানেজার মনির খানের ৪২ একর, কোদালধোয়া গ্রামের ইরি ব্লকের ম্যানেজার আব্দুর রব ফকিরের ৪০ একর, একই এলাকার ইরি ব্লকের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর খানের রয়েছে প্রায় ৫৫ একরসহ ৩০টি ইরি ব্লকের প্রায় ১হাজার ৫শত একর জমি চাষবাদের আওতায় রয়েছে। স্লইচগেট বন্ধ থাকায় এই সব ইরি ব্লকের ম্যানেজরা খালে কখন জোয়ার আসবে সেই অপেক্ষায় বসে থাকেন। প্রতি ২৪ ঘন্টায় দুই বার খালে জোয়ার আসলেও ওই জোয়ারের পানি দিয়ে সকল জমিতে পানি দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানান ব্লক ম্যানেজরা। স্লুইচ গেট বন্ধ থাকার বিষয়টি একাধিকবার পারি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আব্দুস ছালামকে জানালেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি। জলিরপাড় গ্রামের কৃষক উত্তম অধিকারী জানান, ম্যানেজার অরবিন্দু অধিকারীর ইরিব্লকে আমার ৪একর জমি রয়েছে। ওই জমিতে ইরি ধান চাষ করেছি। সঠিকভাবে ক্ষেতে পানি দিতে না পারায় ফসল নিয়ে দুচিন্তায় রয়েছি। এব্যাপারে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক বিভাগ) নিউটন দে বলেন, ওই স্লইচগেট মেরামতের দায়িত্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পূর্তবিভাগ)  উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.নাইম’র। তিনি মো.নাইম’র বরাত দিয়ে জানান, উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT