দুই বছর ধরে ববি মসজিদে মোয়াজ্জেম ছাড়াই জুম্মা আদায়: মঙ্গলবার শবে বরাত দুই বছর ধরে ববি মসজিদে মোয়াজ্জেম ছাড়াই জুম্মা আদায়: মঙ্গলবার শবে বরাত - ajkerparibartan.com
দুই বছর ধরে ববি মসজিদে মোয়াজ্জেম ছাড়াই জুম্মা আদায়: মঙ্গলবার শবে বরাত

3:25 pm , March 3, 2023

= জুম্মাবার =

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ শুক্রবার, ১০ শাবান। আগামী মঙ্গলবার ১৪ শাবান শবেবরাত। পবিত্র কোরআনে শবেবরাত এর কোনো উল্লেখ নেই। তবে হাদিস শরীফে অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। তাছাড়া পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ মাস হিসেবে শাবান মাসের গুরুত্ব পবিত্র কোরআনেও উল্লেখ রয়েছে বলে জানান বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ফায়েজুল্লাহ। তিনি বলেন, শবেবরাত না বলে এই রজনীকে মুক্তির রাত বলাই উত্তম। কেননা এই রাতে প্রত্যেক মানুষের কাছে একজন ফেরেশতা পাঠানো হয় ওই মানুষটির দোয়া কবুলের জন্য। তাই এই রজনী মুক্তির রজনী। ক্ষমা চাওয়া ও ক্ষমা পাওয়ার রাত।
এসময় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ছাদেকুল আরেফিন, জনসংযোগ কর্মকর্তা, রেজিস্টারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। জানা গেল, গত দুইবছর ধরে ইমাম ফায়েজুল্লাহ এখানে মোয়াজ্জেম হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন যা সত্যি দুঃখজনক। দৃষ্টিনন্দন চমৎকার বৃহৎ একটি মসজিদ তৈরির দুইবছরে একজন মোয়াজ্জেম নিয়োগ প্রক্রিয়া আজো চলমান আছে শুনে লজ্জিত হতে হয়। জুম্মার আজান ইমাম নিজে দিলেও খুতবার আজান দেয়ার জন্য মুসল্লীদের অনুরোধ জানান তিনি।
অতঃপর বাংলা খুতবার আলোচনায় শাবান মাসের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, হিজরতের প্রায় দেড় বছর পর এই মাসেই কিবলা পরিবর্তন হয়। অর্থ্যাৎ পূর্ব কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাসের পরিবর্তে কাবা শরিফ কিবলা হিসেবে ঘোষিত ও নির্ধারিত হয় এই মাসে। ‘বারবার আপনার আকাশের দিকে মুখম-ল আবর্তন আমি অবশ্যই লক্ষ করি। সুতরাং কিবলার দিকে আপনাকে প্রত্যাবর্তন করে দেব, যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন। অতএব আপনি মসজিদুল হারামের (কাবা শরিফ) দিকে চেহারা ঘোরান। তোমরা যেখানেই থাকো না কেন ওই (কাবা) দিকেই মুখ ফেরাও।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৪৪)। তাই শাবান মাস একদিকে ইসলামি ঐক্যের মাস, অন্যদিকে কাবা কেন্দ্রিক মুসলিম জাতীয়তা ও ভ্রাতৃত্ববোধে উজ্জীবিত হওয়ার মাস। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠের নির্দেশনা সংবলিত অসাধারণ আয়াতটি এই মাসেই অবতীর্ণ হয়। ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা নবীজি (সা.)-এর প্রতি পরিপূর্ণ রহমত বর্ষণ করেন, ফেরেশতাগণ নবীজির (সা.) জন্য রহমত কামনা করেন; হে মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি দরুদ পাঠ করো এবং যথাযথভাবে সালাম পেশ করো।’ (সুরা-৩৩ আহজাব, আয়াত: ৫৬)।
ইমাম মাওলানা ফায়েজুল্লাহ আরো বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রজব মাস এলেই রোজা রাখতেন এবং বেশি বেশি বরকত পেতে দোয়া করতেন; উম্মতকেও দোয়া করতে বলতেন যার অর্থ -‘হে আল্লাহ! রজব ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন; রমজান মাস আমাদের নসিব করুন।’ (বুখারি ও মুসলিম)
শাবান মাসকে রমজানের প্রস্তুতি মাসও বলা হয় উল্লেখ করে ইমাম হাদিসের আলোকে বলেন, হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত আছে যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয় মাসের একটি হলো শাবান। এ মাসে নফল রোজা আদায় করেই তিনি মাহে রমজানের রোজা পালন করতেন।
আরেকটি হাদিসে হযরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছেন, “হে বৎস! যদি পারো এভাবে সকাল ও সন্ধ্যা পার করো যেন তোমার অন্তরে কারও প্রতি হিংসা না থাকে; তবে তাই করো।” অতঃপর বললেন, “হে বৎস! এটাই আমার সুন্নত সুমহান আদর্শ। যে ব্যক্তি আমার সুন্নত অনুসরণ করল, সে প্রকৃতপক্ষে আমাকে ভালোবাসল; যে আমাকে ভালোবাসল, সে জান্নাতে আমার সঙ্গেই থাকবে।”’ (তিরমিজি শরিফ: ২৬২৭)

এই বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT