3:29 pm , March 2, 2023

বাকেরগঞ্জ প্রতিবেদক ॥ বাকেরগঞ্জে একদিন স্কুলে না আসায় শিক্ষকের বেত্রাঘাতে আহত হয়েছে এক ছাত্র। বৃহস্পতিবার উপজেলার কলসকাঠি বিএম একাডেমীর ষষ্ঠ শ্রেনীতে পরুয়া ছাত্র মো. রবিউল ইসলাম এর সাথে এঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র সে। একাডেমির প্রধান শিক্ষক বিষয়ের সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন রোববার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। ছাত্রের চাচা সফিকুল ইসলাম খান বলেন, রবিউলের বোন অসুস্থ। তাকে দেখতে হাসপাতালে যাওয়ায় বুধবার সে স্কুলে যেতে পারেনি। সফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রবিউল স্কুলে যায়। দ্বিতীয় পিরিয়ডে ক্লাস নিতে আসেন কামাল হোসেন। তিনি এসে রবিউলকে দেখে জানতে চায় বুধবার স্কুলে কেন আসেনি। রবিউল বোনের অসুস্থতার কথা জানালেও শিক্ষক কামাল হোসেন বিষয়টি মানতে চাননি। তিনি রবিউলকে বলেন, কোন অজুহাতে মানবো না। একথা বলে রবিউলকে বেত্রাঘাত করেন। সফিকুল আরো জানান, বাড়ী এসে বিষয়টি চাচিকে জানায়। তখন তিনি দেখতে পায় বেতের আঘাতে শিশু রবিউলের পিঠে তিন স্থান ফেটে গেছে। তখন তাকে ফার্মেসীতে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষককের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন, কলসকাঠি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএম একাডেমির পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি শওকত হোসেন হাওলাদারের ছেলে শিক্ষক কামাল হোসেন। তাই তিনি কাউকে পরোয়া করেন না। তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। এ ধরনের একাধিক ঘটনা রয়েছে। প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান হওয়ায় কোন অভিভাবক প্রতিবাদ করে না। প্রধান শিক্ষকও তার কাছে লাঞ্চিত হয়েছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিপক কুমার পাল বলেন, ছাত্ররা একটু দুষ্টুমি করে। তাদের শান্ত রাখতে মাঝে মধ্যে একটু শাসন করতে হয়। এ জন্য বেত্রাঘাত করতে হবে, সেই নিয়ম নেই। তবুও এ ঘটনা ঘটানো ঠিক হয়নি। বিষয়টি নিয়ে রোববার সমঝোতা করার চেষ্টা করা হবে। এর কারন হিসেবে প্রধান শিক্ষক বলেন, ছাত্রের অভিভাবক তো লিখিত কোন অভিযোগ দেয়নি। তারা মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছে। লাঞ্চিত করার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, তার বাবা সভাপতি থাকাকালীন একটু সমস্যা হয়েছিলো। তখন একটা প্রচার হয়েছিলো কামাল হোসেন আমাকে লাঞ্চিত করেছে। বিএম একাডেমিকর পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না। জেনে পরবর্তি ব্যবস্থা নেবেন। অভিযুক্ত শিক্ষক কামাল হোসেনের ফোন বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।