3:38 pm , February 27, 2023
মো: আফজাল হোসেন, ভোলা ॥ ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ভোলার মেঘনা এবং তেতুলিয়া নদীর ১৯০কিলোমিটার এলাকায় সকল ধরনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। মার্চ-এপ্রিল এই দুইমাস মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। তবে সরকারীভাবে দেয়া চাল বিতরণ যাতে সঠিক ভাবে জেলেরা পায় সেই দাবী অসহায় জেলে পরিবারগুলোর। ২৮ ফেব্রুয়ারী মধ্যরাত থেকে ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত নিষিদ্ধ এলাকায় সকল ধরনের জাল ফেলার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময়টাতে অভয়াশ্রম গুলোতে ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা দন্ডনীয় অপরাধ। আইন অমান্যকারীকে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদ- অথবা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দ-ে দ-িত করা হতে পারে। জাটকা সংরক্ষণে দুই মাস দেশের ছয়টি জেলার পাঁচটি অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে মধ্যরাত থেকে। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ইলিশের পাঁচটি অভয়াশ্রম হলো বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী জেলা। পাঁচটি অভয়াশ্রম এলাকা হচ্ছে চাঁদপুর জেলার ষাটনল হতে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার থেকে মেঘনা নদীর নি¤œ অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার এলাকা। ভোলা জেলার মদনপুর থেকে শুরু করে চর ইলিশা, চর পিয়াল হয়ে মেঘনার শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকা। ভোলা জেলার ভেদুরিয়া হতে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তম ও তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা। শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ উপজেলা ও চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মধ্যে অবস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকা। বরিশাল জেলার হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ, বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর, গজারিয়া ও মেঘনা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা। প্রতিবছর মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস এসব অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে। এদিকে নিষিদ্ধ সময় সরকারী ভাবে দেয়া জেলেদের মাঝ চাল বিতরণে প্রতিবছরেই ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব অভিযোগের সত্যতা পেলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারন জেলেদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ভোলার ইলিশা মাছ ঘাট এলাকার মো: ইদ্রিস বলেন,এসব লিখে কি হবে বলেন। আপনারা লিখে যাচ্ছেন, চোরের চুরিতো বন্ধ হচ্ছে না। চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ নেতারা মিলেমিশে খায়। প্রশাসন চুপ থাকে,তাতে লাভ হচ্ছে কি। দৌলতখানের বটতলার মাছ ঘাটে কথা হয় মো: সফিজল এর সাথে। তার মতে জেলেদের চেয়ে স্থানীয় নেতা ও চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের লোকেরা চাল বেশি নিয়ে থাকে। প্রকৃত জেলেরা পায় না। অপরদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদউল্যাহ বলেন,কোন চাল বিতরন অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাতে জেলেরা সঠিকভাবে চাল পায় তার জন্য মনিটরিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হচ্ছে। একই সাথে তিনি বলেন, জেলেদের তালিকায় স্বচ্ছতা আনার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এ সময় অভয়াশ্রমগুলোতে ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা দ-নীয় অপরাধ। আইন অম্যান্যকারীকে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদ- অথবা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দ-ে দ-িত করা হতে পারে। ছয় জেলার ২ লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৮ জন জেলেদের মাসে ৪০ কেজি করে দুই মাসে ৮০ কেজি করে মোট ১৯ হাজার ৫০২ টন ভিজিএফ চাল ইতিমধ্যে বরাদ্দ করা হয়েছে।