4:09 pm , February 25, 2023

ঝালকাঠি প্রতিবেদক ॥ ঝালকাঠিতে বিএনপি ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ-পুলিশের সংঘর্ষে ১৪ জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় শহরের আমতলা সড়কের দলীয় কার্যালয় অবস্থানকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার পরপরই পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান খানসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ১৬ নেতা-কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। এর আগে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাদাৎ হোসেন, আহবায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম জামাল, পৌর বিএনপি’র সভাপতি নাসিমুল হাসান, সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি অধ্যাপক এজাজ আহমেদ। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন,“বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির কারণে দেশের মানুষ ভালো নেই। আর্থনীতিবীদরা বলেছেন আগামীতে দেশে ভয়াভয় অর্থনৈকিত সংকট দেখা দেবে। দেশের এমন পরিস্থিতির জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী। পুলিশ বলছে পদযাত্রা শেষে ক্ষিপ্ত হয়ে নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ঝালকাঠি সদর থানর ওসি অপারেশন ফিরোজ কামালসহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত পুলশি সদস্যরা হলেন : ওসি ফিরোজ কামাল, এসআই মো. শফিকুর রহমান, এসআই নজরুল ইসলাম, এএসআই শিপন ও কনস্টেবল মতিয়ার রহমান। তারা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে বিএনপি নেতারা দাবী করেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্নভাবে পদযাত্রা কর্মসূচী পালন করে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছিল। এসময় ছাত্র ও যুবলীগের একদল স্বন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে বিএনপি অফিসে হামলা চালায়। এতে জেলা বিএনপির সদস্য সচবি শাহাদাৎ হোসেন, জেলা বিএনপি নেতা জামাল হোসেন, নলছিটি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিচুর রহমান হেলালসহ সহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৮ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাদাৎ হোসনে বলনে,‘ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একদল স্বন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের উপরে হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে ৮জন আহত হয়। অথচ থানা পুলিশ উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের পুলিশের উপর হামলার কাল্পনিক অভিযোগে গণগ্রেপ্তার শুরু করে এখন পর্যন্ত ১৬জনকে আটক করেছে। বর্তমানে আমাদের নেতাকর্মীরা গ্রেফতার আতঙ্কে চিকিৎসাও নিতে পারছেনা।