চুরির অপবাদে বাবা ও ছেলেকে রাতভর নির্যাতন চুরির অপবাদে বাবা ও ছেলেকে রাতভর নির্যাতন - ajkerparibartan.com
চুরির অপবাদে বাবা ও ছেলেকে রাতভর নির্যাতন

4:23 pm , February 20, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নলছিটির রানাপাশা ইউনিয়নের তেতুলবাড়িয়া গ্রামে সুপারি চুরির অভিযোগে শিকলে বেঁধে ১১ বছরের এক শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ মিলেছে। শিশুর বাবাকেও একইভাবে  নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানায় অভিযোগকারিরা। এলাকার প্রভাবশালিরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে প্রায় ১১ ঘন্টা এই নির্যাতন চালিয়েছে। গতকাল সকাল ১০টায় মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।  স্থানীয়রা জনায়, রবিববার রাত ১১দিকে ওই গ্রামের লতিফ খানের বাড়ির আঙিনায় মজুদ করে রাখা ৪২০টি সুপারি চুরির ঘটনা ঘটে। শিশু ছাব্বিরের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে এনে তাকে ও তার বাবা মো. বাবুল হাওলাদারকে বাড়ি থেকে আটক করে লতিফ খানের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। লতিফ খান ও স্থানীয় কয়েকজন মিলে এরপর নির্যাতন চালায়। রাত ১২টার দিকে আব্বাস হাওলাদার নামে স্থানীয় এক মাংস বিক্রেতা কাঁচি দিয়ে ওই শিশুর মাথার চুল কেটে দেয়। এরপর সারারাত বেঁধে রাখা হয়। সোমবার সকালে এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে মুচলেকা নিয়ে বাবুল হাওলাদার ও তার ছেলেকে ছেড়ে দেন লতিফ খান। ভুক্তভোগী বাবুল হাওলাদার জানান, ছেলের বিরুদ্ধে সুুপারি চুরির অভিযোগ তুলে সারারাত আমাদেরকে খোলা আকাশের নিচে গাছে সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। রাতে শীতে অনেক কষ্ট পেয়েছি আমরা। সকালে একটি সাদা কাগজে আমার স্বাক্ষর নিয়ে ছেরে দেয়। নির্যাতনের শিকার শিশুর মা শিউলি বেগম বলেন, আমার ছেলে ও স্বামীকে রাতে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর আমিও ঘটনাস্থলে যাই। তখন লতিফ খান আমাকে একটি চড় মারে। আমার স্বামী ও ছেলেকে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, ঘটনাটি আমি এখনো জানি না।  অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT