3:24 pm , February 18, 2023
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া শহীদ মিনার আমার হাতে সম্পূর্ণ হলো এর চেয়ে বড় সৌভাগ্য আর কি হতে পারে? প্রশ্ন তুলে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, এখানে দলমত নির্বিশেষে মানুষের পদধূলি পড়বে। সব জাত ধর্মের মানুষ এখানে ২১ শে ফেব্রুয়ারীর দিন সমবেত হয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তারা যেন নির্বিঘেœ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেন, আমি সে চেষ্টা করেছি। দলমত নির্বিশেষে মানুষের ভালোবাসা চাই। আর কিছুই চাই না আমি।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর শহীদ মিণারের সংস্কারের কাজ শেষে শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় ফিতা কেটে ও নতুন নামফলকের মোড়ক উন্মোচন করেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। উদ্বোধন আয়োজন শেষে নৃত্যাঙ্গনের নৃত্য তারপর হয় আলোচনা পর্ব। এ সময় উদ্বোধক সাদিক আব্দুল্লাহ আরো বলেন, জাতির জনকের স্বপ্ন সোনার বাংলা সাথে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ। এই স্বপ্ন পূরণ করতে হলে আমাদের সোনার মানুষ হতে হবে। এ সময় আলোচনায় অংশ নেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান, ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলামসহ আরো অনেকে।
দেশের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহীদ মিনার হচ্ছে বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। আর এ শহীদ মিনারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৩ সালের ৩ জানুয়ারী বরিশাল সফর সময়ে এই শহীদ মিণারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিয়েছিলেন এখানে পাঠাগার ও মিলনায়তন নির্মাণের। সিটি কর্পোরেশনের তৃতীয় পরিষদের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ সেখানে বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামের নির্মাণ কাজ এবং শহীদ মিণারের পুন.সংস্কার শুরু করেন। মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামের কাজ সম্পন্ন না হলেও ২১ ফেব্রুয়ারীর দুই দিন আগেই শহীদ মিণার সকলের জন্য উম্মুক্ত করে দিয়েছেন।
শহীদ মিণারের চারপাশে দেয়াল তুলে রাস্তা থেকে আলাদা করা হয়েছে। লাল দামী ইটে মুড়িয়ে দেয়া হয়েছে পুরো আঙ্গিনা। মাটি আর ঘাষের অস্তিত্ব আর নাই। বর্ষায় কর্দমাক্ত কিংবা বালুতে গাঁ ঘিনঘিন হবে না আর বরিশালের শহীদ মিণারের পাদদেশ। শুধু কি এটুকুই। নাহ। আরো আছে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিণারের আদলে সাজানো হয়েছে এবার বরিশাল শহীদ মিণারটি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন এই শহীদ মিণারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তখন এটাই মূল নকশা ছিলো বলে জানালেন বরিশালের গর্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা বীরপ্রতীক মহিউদ্দিন মানিক। তাকে সমর্থন করে একই বক্তব্য দিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কেএম জাহাঙ্গীরসহ অতিথিবৃন্দও। তারা আরো বললেন, লাগানো হয়েছে স্থায়ী লালবৃত্ত। যা আর কখনোই বারবার পরিবর্তন করতে হবে না। আরো রয়েছে চমৎকার অত্যাধুনিক আলোকসজ্জা। এখন এই শহীদ মিণার সত্যিকারের আদলে ফিরেছে বলে মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন বরিশালের সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ প্রায় সবাই।