দখল-দূষণে ভারসাম্য হারাচ্ছে কীর্তনখোলা দখল-দূষণে ভারসাম্য হারাচ্ছে কীর্তনখোলা - ajkerparibartan.com
দখল-দূষণে ভারসাম্য হারাচ্ছে কীর্তনখোলা

3:25 pm , February 13, 2023

পরিবর্তন ডেস্ক ॥ দখল আর দূষণে ভারসাম্য হারাচ্ছে কীর্তনখোলা নদীসহ বরিশাল নগরীর বুকে বয়ে চলা খালগুলো। এক সময় এই খাল দিয়েই যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌকা, ট্রলার চলাচল করতো। দুই যুগ আগে ২৩টি খাল থাকলেও এখন নামেমাত্র টিকে আছে দুই থেকে তিনটি।বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বরিশালের তথ্য বলছে, গত ৪০ বছরে কীর্তনখোলা নদীর দুপাড় দখল করেছে প্রায় চার হাজার ১৯২ প্রভাবশালী। আর নগরীর ২৩টি খালে দখলদারের সংখ্যা প্রায় এক হাজারের বেশি।বরিশাল নদী খাল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিপলু বলেন, প্রতিনিয়ত যেভাবে নদী ও খাল দখল ও দূষণের কবলে পড়ছে তাতে অচিরেই কীর্তনখোলা ও নগরীর ২৩টি খাল তার চিরচেনা রূপ হারাবে।প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের এখনই নদী ও খাল রক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে।প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় প্রতিনিয়ত খাল ও নদীতে চলছে দখলের মহোৎসব। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় বাড়ছে দূষণও।নগরীর ভাটারখাল এলাকার বাসিন্দা সোহেল জানান, নদীতে চর ওঠার আগেই তা দখল করে প্রভাবশালীরা। আবার অনেক সময় টিন দিয়ে নদীতে বেড়া দিয়ে তাতে বালু ভরে দখল করা হয়।আনিস নামের আরেকজন জানান, যেভাবে খাল আর নদী ভরাট হচ্ছে এতে বরিশাল নগরীতে জলাবদ্ধতার সমস্যা কমবে না। প্রশাসনের এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।এদিকে বিআইডব্লিউটিএ কতৃর্পক্ষ বারবার দখলদারদের তালিকা করার উদ্যোগ নিলেও এখনও আলোর মুখ দেখেনি।বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, যারা নদী ও খাল দখল করেছে প্রথমে তাদের চূড়ান্ত তালিকা করা হবে।এরপর বিআইডব্লিউটিএকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।২০১০ সালে নগরীর মাস্টার প্লানে ২৩টি খালের তথ্য থাকলেও এখন নামেমাত্র টিকে আছে দুই থেকে তিনটি। খাল ভরাট থাকায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় তলিয়ে যায় শহরের অধিকাংশ এলাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT