3:18 pm , February 5, 2023

হেলাল উদ্দিন ॥ সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা ছিলো বরাবরের মত পহেলা জানুয়ারী হয় বই উৎসব। ওই দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিলো নতুন বই। এবার বই উৎসব ছিলো ঠিকই কিন্তু শতভাগ বই মেলেনি শিক্ষার্থীদের হাতে। ঘাটতি আর সংকট নিয়ে শুরু হয় পাঠদান। ইতিমধ্যে বছরের প্রথম মাস শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় মাসে এসেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গী হিসাবে রয়ে গেছে বই সংকট। বরিশাল জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় স্তরে এখনো বইয়ের সংকট রয়ে গেছে। বরিশাল জেলায় প্রাথমিকে প্রায় শতভাগ বই এসে পৌঁছে গেলেও প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বইয়ের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। অর্থ্যাৎ এই দুই শ্রেণিতে শতভাগ বই এসে পৌঁছায়নি।
প্রাথমিকের অবস্থার বিপরীত চিত্র মাধ্যমিকে। জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য বলছে সর্ব সাকুল্যে ৮৫ থেকে ৯০ ভাগ বই এসে পৌঁছেছে এখন পর্যন্ত। ১০ থেকে ১৫ ভাগ বইয়ের যে ঘাটতি রয়েছে তা ৭ম ও নবম শ্রেনীর উপর ভর করেছে। মাধ্যমিকে অন্য সব শ্রেণিতে শতভাগ বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হলেও ৭ম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সব বইয়ের মুখ দেখতে পারেনি। এই দুই শ্রেণিতে একাধিক বইয়ের ঘাটতি রয়েছে এখনো। তবে বেশী ঘাটতি রয়েছে দাখিল,ইবতেদায়ী,ভোকেশনাল মাধ্যমে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আকমল হোসেন বলেন, তার উপজেলায় ৯০ ভাগ বই পৌঁছেছে। যে ১০ ভাগ ঘাটতি রয়েছে তা শুধু নবম শ্রেণির ক্ষেত্রে। বানারীপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাসরিন জোবাইদা বলেন, তার উপজেলায় ৭ম ও নবম শ্রেণির বইয়ে এখনো বেশ ঘাটতি রয়েছে। এই দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বলতে গেলে অর্ধেক বই দিয়ে ক্লাস করছে।
বরিশাল জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সব মিলিয়ে জেলায় চাহিদার ৯০ ভাগ বই এসে পৌঁছেছে। উপজেলাগুলোতে খবর নিয়ে জেনেছি ৭ম ও নবম শ্রেণির দুই একটি বইয়ের ঘাটতি রয়েছে। তবে আশা করছি চলতি সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ বই চলে আসবে। তিনি বলেন, মাধ্যমিকের চেয়ে জেলায় দাখিল,ইবতেদায়ী ও ভোকেশনাল শ্রেণির বইয়ের ঘাটতি বা সংকট তুলনামূলক বেশী।
জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তফা কামাল বলেন, জেলায় প্রাথমিকে বইয়ের যে ঘাটতি আছে তাকে সংকট না বললেও চলে। শুধু প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কয়েকটি বইয়ের ঘাটতি রয়েছে। তাতে পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে না। শিক্ষকরা ম্যানেজ করে নিচ্ছে। আশা করছি দু এক দিনের মধ্যে বাকি বই চলে আসবে।
প্রসঙ্গত জেলায় মাধ্যমিকে ২৮ লাখ ২ হাজার ৪৭৯ টি এবং প্রাথমিকে নতুন বইয়ের চাহিদা প্রায় ১৩ লাখ ২১ হাজার।