স্বেচ্ছাশ্রমে বরিশাল জেলা ইস্তেমা’র কাজ এগিয়ে চলছে স্বেচ্ছাশ্রমে বরিশাল জেলা ইস্তেমা’র কাজ এগিয়ে চলছে - ajkerparibartan.com
স্বেচ্ছাশ্রমে বরিশাল জেলা ইস্তেমা’র কাজ এগিয়ে চলছে

3:05 pm , February 4, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ স্বেচ্ছাশ্রমে শুরু হয়েছে বরিশাল জেলা ইজতেমার মাঠ তৈরির কাজ। ইতোমধ্যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শতশত লোক স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দিনভর ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রায় একমাস পর্যন্ত চলছে পানি নিষ্কাশনের কাজ। এছাড়াও ফজরের নামাজের পর থেকেই শুরু হয় কচুরি, জঙ্গল, লতা-পাতা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। এ কাজে যোগদান করে যুবক-বৃদ্ধসহ সব শ্রেণি-পেশার লোক। হাসি-খুশি কাজের মধ্যে চলছে খানাপিনার ব্যবস্থা। সকাল-দুপুর-রাতে আপ্যায়নে চলছে খিচুরি এবং মাঝে মধ্যে চা-বিস্কুট।
বরিশাল জেলা ইজতেমার এবারের ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে সদর উপজেলার পশ্চিম পাশে বিশাল ময়দান। জানা গেছে, ১৫০ একর জমি ইজতেমা প্রাঙ্গণের আওতায় আনা হয়েছে। এবছর ফেব্রুয়ারিতে পুনরায় এ এলাকায় ইজতেমার ভেন্যু হওয়ায় মুসল্লীদের মাঝে বিরাজ করছে খুশির আমেজ।
এ বছর মাঠ নির্মাণের জিম্মাদারের দায়িত্বে রয়েছেন সূরা সদস্য আবদুল্লাহ রাজা, নির্মাণ সদস্য সেলিম চৌধুরী, সূরা সদস্য শফিকুল ইসলাম, আমির হোসেন এবং মঞ্জুরুল ইসলাম সোহাগ। এছাড়া মাঠ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বে রয়েছেন বরিশাল হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা মারকাজ জামে মসজিদের সানি ইমাম মাওলানা আবদুর রহিম এবং ব্যবসায়ী মোঃ মাসুম চৌধুরী।  মাওলানা আবদুর রহিম জানান, আগামী ২৩, ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বরিশাল জেলা ইজতেমা। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এ নিয়ে বরিশালে ৪র্থ বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা ইজতেমা।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ঢাকা কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বীদের (সূরার সদস্য) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা ইজতেমার আয়োজন করা হয়। মূল উদ্দেশ্য টুঙ্গীর তুরাগ তীরে অসংখ্য মুসুল্লীদের সংখ্যা কমিয়ে আনা। অর্থাৎ যারা বরিশাল জেলা ইজতেমায় আসবেন তাদের তুরাগ নদীর তীরে টঙ্গীর ইজতেমায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই। মুরুব্বীদের সিদ্ধান্তের প্রথম বছরই ৩২ জেলার মধ্যে বরিশাল অন্তর্ভূক্ত হয়। ২০১৭ সালের জেলা ইজতেমায় বরিশাল না থাকলেও ঝালকাঠী জেলা তালিকায় ছিলো। ফলে অনেক বৃদ্ধ, অসচ্ছল এবং অসুস্থদের পক্ষেও ইজতেমায় অংশ নেয়ার সৌভাগ্য হয়েছে।
সেলিম চৌধুরী জানান, কাকরাইল মসজিদসহ দিল্লীর হযরত নিজামুদ্দিন (র.) মাদ্রাসার উচ্চ পর্যায়ের মুরুব্বীদের দল বরিশালে আসছেন। জেলা ইজতেমা সফল করতে বিসিসিসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে প্যান্ডেল তৈরীর জন্য বিভিন্ন উপজেলা থেকে বাঁশ আসতে শুরু করবে। সবচেয়ে বেশি বাঁশ আসে আগৈলঝাড়া এবং গৌরনদী উপজেলা থেকে। ইজতেমার জন্য সকল কাজই স্বেচ্ছায় প্রণোদিত হয়ে সকলে করে থাকেন।
সূত্র মতে, সময় খুবই কম অথচ কাজ অনেক। শত শত টয়লেট নির্মাণ, ওজুর পানির ব্যবস্থা করা, বিকল্প হিসেবে বিদ্যুতের জন্য জেনারেটর, অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ, ফায়ার সার্ভিসের জন্য স্থান নির্ধারণ, ষ্টেজ ও প্যান্ডেল তৈরীসহ অনেক কাজ। তাই ইজতেমা প্রাঙ্গণের কাজ বেশ জোরে সোরেই শুরু হয়েছে।
মহান আল্লাহপাকের করুনার আশায়, তার খুশির জন্য সকলেই স্বেচ্ছাশ্রমে ব্যস্ত। মুরব্বিরা জানান, বিগত বছর বরিশাল জেলা ইজতেমায় প্রায় ৪ লক্ষাধিক মুসুল্লীর আগমন ঘটেছিল। এবার প্রায় দ্বিগুন মুসুল্লী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাই ইজতেমা প্রাঙ্গণের জমির পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT