কিশোরের মৃত্যুর ৩ দিন পর হত্যার অভিযোগ চাচার কিশোরের মৃত্যুর ৩ দিন পর হত্যার অভিযোগ চাচার - ajkerparibartan.com
কিশোরের মৃত্যুর ৩ দিন পর হত্যার অভিযোগ চাচার

3:33 pm , February 3, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ গৌরনদী উপজেলায় এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় তিন দিন পর হত্যার অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তার চাচা। বৃহস্পতিবার রাতে গৌরনদী মডেল থানায় এই অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন জানিয়েছেন। নিহত বায়জিদ সরদার (১৩) গৌরনদী পৌর এলাকার গোবর্ধন মহল্লার মুজাম সরদারের ছেলে। তার চাচা মনির সরদারের করা অভিযোগের বরাতে পরিদর্শক হেলাল জানান, সোমবার সকালে বায়জিদকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় প্রতিবেশী আব্দুল বেপারী। পরে ভ্যানে একটি সারের বস্তা নিয়ে বায়জিদসহ বালিয়ারপাড় এলাকায় যায় আব্দুল বেপারী। এর আধা ঘণ্টা পর ভেজা ও কাদামাখা বায়জিদকে অচেতন অবস্থায় বাড়িতে নিয়ে আসেন আব্দুল বেপারী। তার চাচার অভিযোগ ভারী বস্তা চাপিয়ে দেওয়ায় তার ভাতিজা অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেদিনই অচেতন বায়জিদকে প্রথমে উপজেলা হাসপাতাল ও পরে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক বায়জিদকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পরিদর্শক হেলাল জানান, গৌরনদী থানায় অভিযোগের পর প্রাথমিক তদন্তে মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কিশোরের চাচা মনির সরদার জানান, তার ভাই মুজাম সরদার সহজ-সরল মানুষ হওয়ায় তিনিই তাদের পরিবারের অভিভাবক। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “জোর করে কিশোর বায়জিদের মাথায় ভারী সারের বস্তা চাপিয়ে দেওয়ায় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু আব্দুল বেপারী মৃগীরোগে তার ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে বলে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে।” এ বিষয়ে পরিদর্শক হেলাল বলেন, শাহবাগ থানায় করা অপমৃত্যুর মামলায় বায়জিদের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT