3:24 pm , February 3, 2023

হিজলা প্রতিবেদ ॥ হিজলা উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় সহকারী শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ২ নং ওর্য়াডের চরপত্তনী ভাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন মারধরের শিকার সহকারী শিক্ষিকা সালমা বেগম। তিনি জানান, এক বছর পূর্বে প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তখন তাকে সর্তক করলে ভয়ভীতি দেখায়। তাই ওই ডেপুটিশনে অন্য স্কুলে চলে যান তিনি। কয়েক আগে ডেপুটিশন বাতিল হওয়ায় স্কুলে ফিরে আসেন। চরপত্তনী ভাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিরে আসার পর প্রধান শিক্ষক তাকে নানাভাবে হেনস্ত করার চেষ্টা করে। সালমা বেগম অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন প্রধান শিক্ষককের ছবি তুলছি মিথ্যা কথা রটিয়ে তাকে মারধর করে। নিজেকে রক্ষার্থে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে সহায়তা চান। এ ঘটনা অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারী লাইব্রেরীতে থাকাকালীন সহকারী শিক্ষিকা সালমা বেগম তার ও আরেকজন সহকারী শিক্ষিকার ছবি ধারন করে। তখন প্রতিবাদ করে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তাকে আমি মারপিট করিনি। ঐ সহকারী শিক্ষিকার মানসিক সমস্যা আছে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী তোতা মিয়া বলেন, প্রধান শিক্ষক খামখেয়ালী ভাবে কাজ করেন। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা প্রতিবাদ করতে পারছি না। সহকারী শিক্ষিকা সালমা বেগমকে দিয়ে সব ক্লাস করায়। তিনি ঠিকমত স্কুলে আসে না। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল গাফফার বলেন, আমি ঘটনা স্থানে গিয়েছি। এ ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।