পাথরঘাটায় জমি নিয়ে বিরোধে ১৭টি ঘর ভাংচুর দশ’টিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা পাথরঘাটায় জমি নিয়ে বিরোধে ১৭টি ঘর ভাংচুর দশ’টিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা - ajkerparibartan.com
পাথরঘাটায় জমি নিয়ে বিরোধে ১৭টি ঘর ভাংচুর দশ’টিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

3:55 pm , January 31, 2023

পাথরঘাটা প্রতিবেদক ॥ পাথরঘাটায় জমি জমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১৭টি বসত ঘর ভাংচুর করে এরমধ্যে ১০টি ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।এসময় জমির মালিক পক্ষ বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের ভাড়াটিয়া দুর্বৃত্তরা নারী শিশুসহ ৩০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। পরে ৯৯৯ এ কল পেয়ে পাথরঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আহতদের উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রনব কুমার হুই এর আদালতে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন জমির মালিক আবুল বাশার। এর আগে সোমবার বেলা দশটার দিকে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের হাড়িটানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম হাওলাদার।
মামলার বাদী আবুল বাসার জানান, গত ২১ বছর ধরে হারুন মাঝি গংদের সাথে আদালতে দীর্ঘদিন মামলা চলছিল। ২০২২ সালের নবেম্বর মাসে মামলাটি রায় হয় আমাদের পক্ষে। উকিল কমিশন রায়ের পক্ষে জমি বুঝিয়ে দিলে গত দুই মাস ধরে ৩০ অংশীদারের সবাই ১৫ টি ঘর তুলে ওই জমিতে বসবাস করে আসছি। হঠাৎ সোমবার সকালে স্থানীয় হারুন মাঝি পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দেড় শতাধীক সন্ত্রাসী বাহিনী এনে ওই ঘরগুলো ভেংগে আগুন দিয়ে সম্পুর্ণ পুড়িয়ে ফেলেছে। এ সময় ঘরে থাকা নারী শিশুসহ ৩০ জনকে লোহার পাইপ, রামদা, হকিষ্টিক দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। এদের মধ্যে আসমা বেগম ৪ মাসের ও সালমা ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকায় তাদের গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়েছে। এরা বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
অভিযুক্ত হারুন মাঝি জানান, বরগুনা জজকোর্ট থেকে তাদের পক্ষে রায় হয়েছে। কিন্তু আমরা হাইকোর্টে আপিল করার আগেই বিরোধীয় জমিতে জোরপুর্বক দখল নিয়ে তারা ঘর তুলেছে। সেই ঘরগুলো আমরা ভেঙ্গে দিয়েছি। তারাও আমাদের একটি ঘর ভেঙে লুটপাট করেছে। এঘটনায় আমরাও মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর জানান দীর্ঘদিন ধরে উভয় পক্ষের মামলা চলছিল। সবশেষ আবুল বাশার গংদের পক্ষে রায় হলে তারা আমার কাছে আসে। এর আগেও হারুন মাঝি গংদের পক্ষে রায় আসে। হারুন মাঝিদের আপিলের রায় আসা পর্যন্ত আমি বাশার গংদের তিন মাস অপেক্ষা করতে বলেছি। তারা অপেক্ষা না করে ঘর তোলায় হারুন মাঝি গং ঘরগুলো ভেংগে দিয়েছে বলে শুনেছি।
পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারি আল মামুন জানান, বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০ ধারার জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপর তদন্তভার দেয়া হয়েছে।
পাথরঘাটা থানার ওসি মোহাম্মদ শাহআলম হাওলাদার জানান, ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি। পাশাপাশি বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT