3:42 pm , January 30, 2023
স্বাধেই পুরন হয় স্বাধ্য!
নিজেস্ব প্রতিবেদক ॥ স্বাদ এবং সাধ্য দুটি দুই মেরুর শব্দ। এই শব্দ দুটি নিয়ে প্রচলিত কথাটি অর্থ্যাৎ স্বাদ আছে সাধ্য নেই; হর হামেশাই উচ্চারিত হয়ে থাকে। তবে এই শব্দ দুটির পক্ষে বিপক্ষেও রয়েছে নানা যুক্তি তর্ক। অনেকে বলেন স্বাদ এবং সাধ্যের মধ্যে যোযজন যোজন পার্থক্য রয়েছে। কেউ বলেন স্বাদ থাকলেই হয় না স্বাধ্য থাকতে হয়। স্বাধ্য ছাড়া স্বাদ পূরন করা যায় না। আবার এই কথার উল্টো যুক্তি ছোড়েন অনেকে। তাদের ভাষায় শুধু যে স্বাধ্য থাকলেই স্বাদ পূরন হয় বিষয়টি এমন নয়। অনেকের স্বাধ্য আছে কিন্তু মানিসিক দ্বন্যতা,স্বদিচ্ছার অভাবসহ নানা কারনে স্বাধ্য থাকলেও স্বাদ অপূর্ন থেকে যায়। তাই স্বাদ এবং সাধ্য নিয়ে যুক্তি তর্ক যাই থাকুক না কেন নিজের সামান্য উপার্জন দিয়ে স্বাধ্য পূরনের অনন্য নজির বা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন একজন আনসার সদস্য। স্বাদ থাকলে স্বাধ্য পুরন করা যেতে পারে তা সকলকে আরো একবার মনে করিয়ে দিলেণ তিনি।
মানবিক এই ব্যক্তি অনিমেষ মিস্ত্রি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার ১ নং সাতুরিয়া ইউনিয়নের একজন সহকারী আনসার প্লাটুন কমান্ডার। নিজের সামান্য উপার্জন দিয়ে তিনি এলাকার গরীব,অসহায়,ও দুঃস্থ শীতার্থ ২ শতাধিক পরিবারের মাঝে কম্বল ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন। শ্রী অনিমেষ মিস্ত্রির এহেন মহতী কর্মকান্ডের বিষয়ে রাজাপুর উপজেলার ০৪ নং গালুয়া ইউনিয়ন আনসার প্লাটুন কমান্ডার মোঃ সুমন বলেন আমরা বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা দেশের যে কোন দূর্যোগে ও দুঃসময়ে দেশ ও দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তৃণমূল পর্যায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের প্রত্ত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করে যাচ্ছি। আজ আমারই সংগঠনের ভাই/ সহোযোদ্ধা তার নিজের উদ্যোগে ও অর্থায়নে গরীব, অসহায়, দুস্থ,শীতার্তদের মাঝে নগদ অর্থ ও কম্বল বিতরণ কওে আনসার ও ভিডিপি সদস্যের মহানুভবতার উদাহরন সৃষ্টি করেছেন। কম্বল বিতরণ সম্পর্কে রাজাপুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা সেলিনা বেগম বলেন আনসার সহকারী প্লাটুন কমান্ডার শ্রী অনিমেষ মিস্ত্রিও এমন মহতী উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই, তাদের এই কার্যে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে।