3:36 pm , January 22, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সব জটিলতার অবসান ঘটিয়ে নগরীর ৫টি সরকারি স্কুলে এবার সহোদর ও জমজ কোটায় ভর্তি হওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। ফলে এই ৫ টি স্কুলে সহোদর ও জমজ কোটায় ভর্তি হওয়া ২৪১ শিশু শিক্ষার্থির ভর্তি বহাল থাকছে। আগামী দু এক দিনের মধ্যে সরকারি জিলা স্কুল ও সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের এই কোটায় নির্বাচিতদের ভর্তি শুরু হবে। এদিকে সরকারি আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্কুল, সরকারি আরজুমনি স্কুল ও সরকারি মডের স্কুলে যে দেড়শ শিশু শিক্ষার্থি ১ জানুয়ারি থেকে স্কুলে ভর্তি হয়ে নিয়মিত ক্লাশ করছে তাদের ভর্তিও স্থায়ী হলো। এ বিষয়ে বরিশালের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক গৌতম বাড়ৈ বলেন সহোদর কোটায় ভর্তির বিষয়ে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। তবে সোমবার এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
ডিসেম্বর মাসের ২১ তারিখ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক নির্দেশনামা বলে বরিশালের ৫ স্কুলে সহোদর ও জমজ কোটায় ভর্তির জন্য ২৮৩ জন শিশুকে নির্বাচিত করা হয়। এর মধ্যে সরকারি আরজুমনি স্কুল, সরকারি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্কুল ও সরকারি মডেল স্কুলে নির্বাচিত দেড়শ শিশু শিক্ষার্থি ভর্তি হয়ে গত ১ জানুয়ারি থেকে ক্লাশ করে। অন্যদিকে সরকারি জেলা স্কুল ও সরকারি সদর গার্স স্কুলে নির্বাচিত ১৩৩ জনের ভর্তি হবার কথা ছিলো ১৬ জানুয়ারি। কিন্তু একই অধিদপ্তর থেকে গত ১৫ জানুয়ারি জারি করা অপর নির্দেশনামায় বলা হয়েছে স্কুলগুলোর মোট আসনের শতকরা ৫ ভাগ সহোদর ও জমজ কোটায় ভর্তি হতে পারবে। এমন নির্দেশনামায় অচল হয়ে পড়ে এসব শিশুদের চলমান শিক্ষা কার্যক্রম। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অভিভাবক মহল।
ইতিমধ্যে সরকারি আরজুমনি স্কুলে ৫১ জন, সরকারি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্কুলে ৪৭ জন ও সরকারি মডেল স্কুলে ৫২ জন ভর্তি হয়ে ক্লাশ শুরু করেছে। অন্যদিকে সরকারি জিলা স্কুলে ৪৩ জন এবং সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে ৯০ জন নির্বাচিত হয়েছে। নির্বাচিত হবার পর প্রায় সব শিক্ষার্থি স্কুল ড্রেসসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ি এই ৫ স্কুলে মাত্র ৪২ জন শিশু শিক্ষার্থি ভর্তি হবার কথা ছিলো। অন্য ২৪১ জনের ভর্তি ও নির্বাচিত হওয়াটা ঝুলে পড়েছিলো
এর আগে গত ১ জানুয়ারি জন্ম নিবন্ধন নিয়ে অনিয়মে এই ৫ টি স্কুলে তৃতীয় শ্রেনীতে ভর্তি হওয়া ১৫৯ শিক্ষার্থির ভর্তি বাতিল করা হয়। এ ঘটনার মাত্র দু’সপ্তাহের মাথায় ঘটছে নতুন বিড়ম্বনা নগরীর শিশু সংগঠকদের মধ্যে বিষয়টি বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল। শিশুদের ভর্তি নিয়ে বার বার এমন নিয়ম অনিয়মের সমাপ্তি টেনে এরা শিশুদের চলমান সমস্যার শিশু বান্ধব সমাধান চেয়েছিলেন। এদিকে এ ঘটনার পর জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ৫টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি বিষয়টি মানবিক ভাবে বিবেচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিলো। এই চিঠির প্রতি উত্তরে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। জানানো হয়েছে যে সহোদর ও জমজ কোটায় শিশু ভর্তির প্রক্রিয়ায় বরিশালে পরবর্তি চিঠি আসার আগেই যেহেতু সম্পন্ন হয়েছে সেহেতু এটি এবারের মতো চলমান থাকবে। বরিশাল সরকারি জিলা স্কুলে প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছে যে তার স্কুলে এসব ভর্তি আজ থেকে শুরু হতে পারে। অন্যদিকে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের এসব ভর্তি ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহবুবা হোসেন।