3:38 pm , January 19, 2023

পিআইডি ॥ ১০ জানুয়ারি, ১৯৭২ সাল। বাঙালির জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য ঐতিহাসিক দিন। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে ফিরে আসার দিন।
১০ জানুয়ারি নতুন প্রজন্মের কাছে স্বরণীয় ও বরণীয় করে রাখার জন্য বরিশাল জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গত ১২ জানুয়ারি শিশু একাডেমিতে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় প্রায় বিভিন্ন স্কুলের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। গতকাল জেলা তথ্য অফিস সভাকক্ষে ১০ জন বিজয়ীকে বই, সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়। সহকারী তথ্য অফিসার লেলিন বালার সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বরিশাল জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মো: রিয়াদুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো: মোয়াজ্জেম হোসেন, সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা মো: সাজ্জাদ পারভেজ, মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবেব সভাপতি কাজী আবুল কালাম আজাদ বক্তৃতা করেন। বক্তারা বলেন, মুক্তিকামী বাঙালির সকল আবেগ উচ্ছ্বাসকে নিজের হৃদয়পটে ঠাঁই দিয়ে বঙ্গবন্ধু ছিলেন এক আপোসহীন লক্ষে স্থির মুক্তির দিশারী। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির ভালোবাসার গ-ি ছাড়িয়ে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মুক্তিকামী মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি ব্রিটেনের রাজকীয় বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে নয়াদিল্লির পালাম বিমান বন্দরে পৌঁছে ভারতের তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি ও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে সাক্ষাতের পর ভাষণে বলেছিলেন, ‘‘এ অভিযাত্রা অন্ধকার থেকে আলোয়, বন্দিদশা থেকে স্বাধীনতায়, নিরাশা থেকে আশায় অভিযাত্রা।
বাঙালির ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এই প্রজন্মকে ধারন করতে হবে। শিশুদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিতে বলিয়ান ও দেশপ্রেমিক হয়ে গড়ে উঠতে হবে। সেজন্য অভিভাবকদের স্বাধীনতার ইতিহাস শিশুদের কাছে বলতে হবে। তবেই তারা নিজ ইতিহাস শিশুরা জানতে পারবেন বলে উল্লেখ করেন উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ।