3:52 pm , January 17, 2023

আমতলী প্রতিবেদক ॥ আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক সৈয়দ মোহাম্মাদ ওয়ালিউল্লাহ এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করেছে আদালত। পাবলিক পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়ায় সহায়তার দায়ে করা আমতলী উপজেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আরিফুর রহমান গ্রেপ্তারী পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ মে আমতলী বকুলনেছা মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে উচ্চতর গনিত দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার দিন পরীক্ষার্থী মো. আরিফুর রহমানের প্রবেশ পত্র যাচাইকালে দেখতে পান যে প্রবেশ পত্র ও রেজিষ্টেশন কার্ডে মো.মেহেদী হাসান এর ছবি ও প্রবেশপত্র । পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্তদের জিজ্ঞাসাবাদে আরিফুর রহমান জানান, যে সে ২৫ হাজার টাকা চুক্তিতে মেহেদি হাসানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হেেয়ছে তাকে জিপিএ ৪ পাইয়ে দিবে। নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়েছে। হলকর্তৃপক্ষ আরিফুর রহমানকে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় বকুল নেছা মহিলা কলেজের তৎকালীন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মো. মজিবুর রহমান আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় ১নং আসামী আরিফুর রহমান (১৯) ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে বকুল নেছা মহিলা কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মো. ওয়ালি উল্লাহর সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি প্রকাশ করেন। কিন্ত পরবর্তীতে পিবিআই পুলিশের পরিদর্শক (পটুযাখালী) তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সোবাহান সৈয়দ মো. ওয়ালি উল্লাহর নাম তদন্ত প্রতিবেদনে বাদ দিয়ে দেন। মামলার গত ১৭ জানুয়ারী পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তোষজনক না হওয়ায় সৈয়দ ওয়ালি উল্লাহকে অর্šÍভূক্ত করে মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন বলে জানান, আসামী পক্ষের আইনজীবি অ্যাড ইসহাক বাচ্চু ।