3:18 pm , January 7, 2023
হিজলা প্রতিবেদক ॥ হিজলা উপজেলায় এক ইউপি সদস্য ও তার ভাতিজাকে অপহরন করে হাতুরিপেটা করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের দুই ছেলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। শনিবার বেলা ১১টার সময় হিজলা হাসপাতালের সামনে থেকে অপহরন করা হয় বলে জানান ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলাউদ্দিন বেপারী। হাতুরী পেটায় গুরুতর আহত হয়ে তিনি ও ভাতিজা মো. আব্দুল মন্নান গুরুতর আহত হয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আলাউদ্দিন বেপারী (৬৫) উপজেলার হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য।
আলাউদ্দিন বেপারী জানান, গত ৪ নভেম্বর হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হয়েছে। কাউন্সিলে তিনি সাবেক সাধারন সম্পাদক ও হিজলা-গৌরব্দী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মিলনের সমর্থক ছিলেন। এ কারনে তার উপর ক্ষিপ্ত ছিলো বর্তমান সাধারন সম্পাদক ও বড়জালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন হাওলাদার।
আলাউদ্দিন বলেন, শনিবার বেলা ১১টার দিকে তিনি ও ভাতিজা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে যান। এ সময় এনায়েত হাওলাদারের ছেলে জিদান, আরমান ও ভাগ্নে মারুফসহ ২০/২৫ জনের একটি দল অপহরন করে। পরে উপজেলা সদরের জামাল দফাদারের বাড়ির সামনে নিয়ে তাদের হাতুরি-পেটা করে।
তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে হিজলা থানার পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে বরিশাল পাঠিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন আলাউদ্দিন বেপারী।
তাদের উদ্ধার করা হিজলা থানার এসআই মো. সোহরাব বলেন, মেঘনা নদীতে মাছ ঘাট নিয়ে আলাউদ্দিন বেপারীর সাথে বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে তার মারামারি হয়েছে শুনে গিয়েছি। সেখানে গিয়ে প্রতিপক্ষের কাউকে পাইনি। তাই প্রতিপক্ষ কারা জানি না। আহত ইউপি সদস্য ও তার ভাতিজাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পায়নি।
হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও বরজালিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এনায়েত হাওলাদার বলেন, সাবেক সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিলন ও বর্তমান সভাপতি মিলে তাকে হেয় করাসহ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মামলা দিতে অপ-প্রচার করছে।
এনায়েতের দাবি ঘটনার সময় তার ছেলে দলীয় কার্যালয়ে মিটিংয়ে ছিলো। জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় হামলার ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এনায়েত হাওলাদার।