3:30 pm , January 6, 2023

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ চরকাউয়া থেকে গোমা ১৫ কি.মি সড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যাত্রীবাহী বাসগুলো। এরমধ্যে দিনারের পুল পর্যন্ত সড়কে রয়েছে মসজিদ, বাড়ি, দোকান ও সরু কালভার্টের বাধা। বাকীটা পথে সরু সড়কে পাশাপাশি দুটো গাড়ি পারাপারে বেশ কয়েকটি দূর্ঘটনা ঘটছে এ পথে। সর্বশেষ তালুকদার হাটের তালুকদার বাড়ির মাসুদ (২৮) এক পা হারিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। রাস্তার পাশে মোটরসাইকেল নিয়ে দাড়িয়ে থেকেও রক্ষা হয়নি তার। সরু সড়কের কারণে পিছন থেকে আসা গাড়ি চাপা দেয় তাকে। চালক ও শ্রমিকদের অভিযোগ এপথে শুধু চরকাউয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে দিনারের পুল পর্যন্ত সড়কেই আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। মালিক সমিতি শুধু তাদের স্বার্থ দেখে আমাদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে তাদের কোনো ভূমিকা নেই। সরেজমিনে শুক্রবার সদর উপজেলার চরকাউয়া বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ডের চারটি বাস যত্রতত্র দাঁড়িয়ে গোমা, কাটাদিয়া, নেহালগঞ্জ ও ডিসি সড়কের যাত্রীদের নেয়ার প্রতিযোগিতা করছে। বাসস্ট্যান্ডটি নদী ভাঙনের শিকার হয়ে গত ৪০ বছর ধরে ক্রমশ ছোট হতে হতে এখন দুটোবাস ধারণযোগ্য হয়েছে। সড়কের অর্ধেক দখল করে তাই বাসের দীর্ঘলাইন। কর্তৃপক্ষ চাইলেই এখানে একটি বাসস্ট্যান্ড তৈরি খুব কষ্টকর কিছু নয়। একটু এগিয়ে ভাঙ্গা সড়ক পার হলেই সড়ক জনপদ বরিশালের পিচঢালা পথ। এখানেও সড়কের ভিতর মাথা ঢুকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মসজিদ, দোকান ও বাড়ির স্থাপনা। পথে আরো আছে দুটো কালভার্টের বাঁধা। পুরাতন কালভার্টের উপর নতুন সড়ক দায়সারা বসিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরপর আরেকটু এগিয়ে দিনারের পুল অংশে তিনশত গজ সড়কের বেহাল দশা গোমা, কাটাদিয়া ও নেহালগঞ্জের পথে। এ পথে সড়কের প্রশস্থতা বাড়াতে গাড়ি চালকদের বারবার আবেদন উপেক্ষিত ততবারই। মালিক সমিতির সভাপতি চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ছবি জানান, প্রশাসনের আন্তরিকতা ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। আমরা চেষ্টা করছি। আশাকরি খুব শীঘ্রই এ সমস্যার সুন্দর সমাধান পাবো।