3:32 pm , January 1, 2023

শাকিল আহমেদ, মঠবাড়িয়া ॥ বলেশ^র নদ তীরবর্তী মঠবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে গত এক বছরে পৌরসভাসহ উপজেলার ১১ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বাড়ির পাশের পুকুর, ডোবা অথবা নালায় পড়ে এসব শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু হওয়া অধিকাংশ শিশুদের বয়স ৫ বছরের নিচে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাগেছে, গত বছরের ১১ জানুয়ারী উপজেলা দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের আল আমিন মিয়ার দশ বছর বয়সী মেয়ে সাথী, ১১ জানুয়ারী বড় মাছুয়া গ্রামের দুলাল আকনের পাঁচ বছরের কন্যা আদুরী, ২রা ফেব্রুয়ারী কুমিরমারা গ্রামের মোতালেব মিয়ার ১৮ মাসের কন্যা মুক্তা, ৪ঠা এপ্রিল বুখইতলা বান্ধবপাড়া গ্রামের শাহাদাৎ হোসেনের দুই বছর বয়সী পুত্র শাহ পরান, ২৬ এপ্রিল জানখালী গ্রামের আলী আকবরের দেড় বছরের পুত্র মুবিন, ১৯মে রাজপাড়া গ্রামের আলী হোসেনের আট বছর বয়সী পুত্র সিয়াম, ২২ মে উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের জাকির আকনের দেড় বছরের কন্যা ফারিয়া, ২০ জুলাই সবুজনগর এলাকার শংকর চন্দ্র ওঝার তিন বছরের কন্যা রনিতা, ২৯ জুলাই বড় মাছুয়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেন এর দুই বছরের ছেলে সাইমুন, ১৭ অক্টোবর পাশ^বর্তী পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া গ্রামের বশির হাওলাদারের দেড় বছরের পুত্র ইয়াছিন, ১৪ ডিসেম্বর তাফালবাড়িয়া গ্রামের জাকির হোসেনের ২৪ মাস বয়সী পুত্র হোসাইন, ১৫ ডিসেম্বর নাচনাপাড়া গ্রামের আঃ হাই এর চার বছর বয়সী কন্যা হুমায়রা, ২০ ডিসেম্বর সবুজনগর এলাকার আফজাল গাজীর দুই বছরের পুত্র আরাফাত ও ২৪ ডিসেম্বর পাথরঘাটা উপজেলার পরিঘাটা গ্রামের তপন হাওলাদারের চার বছর বয়সী পুত্র জিৎ হাওলাদার পানিতে ডুবে মারা যায়। এছাড়া ৯ জুন মঠবাড়িয়ায় বসবাসরত পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া গ্রামের আদিত্য বক্তের ২২ মাসের পুত্র বিমল চন্দ্রের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। তবে স্থানীয়দের ধারণা এ মৃত্যু সংখ্যা আরো বেশী। বলেশ^র নদ তীরবর্তী নজরুল ইসলাম জানান, অনেক সময় গ্রামাঞ্চলে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু হলে তাকে আর হাসপাতালে নেয়া হয় না।
মঠবাড়িয়ার গুলিসাখালী জি,কে ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট মোঃ নূর হোসাইন মোল্লা বলেন, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার শহরের চেয়ে গ্রামে বেশী। অসাবধানতার কারণে এ ধরণের দুর্ঘনা ঘটে থাকে। তিনি পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু হ্রাসের জন্য সরকারি অথবা বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনগুলোকে গ্রামাঞ্চলে সচেতনতামূলক সভা-সেমিনার করার আহবান জানান।