3:15 pm , December 27, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ভোলার মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল নিয়ে ডুবে যাওয়া ট্যাংকার ৪৮ ঘন্টা পার হলেও এখনও উদ্ধার শুরু হয়নি বলে পদ্মা অয়েল কোম্পানী লিমিটেডের তদন্ত কমিটির প্রধান জানিয়েছেন। গত রোববার ভোর ৪টার দিকে সদর উপজেলার কাঠিরমাথা এলাকার মেঘনা নদীতে অজ্ঞাত বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ‘সাগর নন্দিনী-২’ নামে ট্যাংকার ডুবে যায়। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ট্যাংকার ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া বাল্কহেড চিহিৃত করা যায়নি বলে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ জানিয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানী লিমিটেডের তদন্ত কমিটির আহবায়ক ডিজিএম (অপারেশন) আসিফ মালেক মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, আমরা অপেক্ষা করছি। চাঁদপুর থেকে ৮/১০ সদস্যের একটি ডুবুরী দল ও দুই জাহাজ আসছে। ডুবুরী এলে ডুবে যাওয়া ট্যাংকারে ওয়্যার হেড বসিয়ে পাইপের মাধ্যমে জাহাজে তেল বের করা হবে। তারপর ট্যাংকার উদ্ধার কাজ শুরু হবে।
তিনি আরো বলেন, এসব কিছুই পরিকল্পনা। ডুবুরি দল নামার পর চূড়ান্ত বলা যাবে। বর্তমানে তার নেতৃত্বে পদ্মা অয়েল কোম্পানীর ও বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) তদন্ত দল ঘটনাস্থলে অপেক্ষা করছেন।
তবে জাহাজটি উদ্ধারের জন্য ‘সাগর বধূ-৩’, ‘সাগর বধূ-৪’ ও ‘সাগর নন্দীনি-৩’ নামে তিনটি জাহাজ এবং দুটি বার্জ এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
এ তথ্য জানিয়ে ডুবে যাওয়া জাহাজ কোম্পানির এক্সিকিউটিভ অফিসার মেহেদি হাসান মঙ্গলবার বিকালে বলেন, কোস্টগার্ডের বার্জ ‘হুমায়রা’ চাঁদপুর থেকে ঘটনাস্থলে আসতেছে। সেটি এলেই তারা উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারবেন। সেটি এলেই সন্ধ্যার মধ্যে উদ্ধার অভিযান শুরু হবে। বুধবারের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা করবেন।
কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা কেএম শাফিউল কিঞ্জল বিকেলে বলেন, দুর্ঘটনা রাতে ঘটেছে। ট্যাংকারের লোকজনও বলতে পারছে না কোন বাল্কহেডের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে।
বাল্কহেডের নাম ও রেজিষ্ট্রেশন নেই। তাই এখনও চিহিৃত করা সম্ভব হয়নি দুর্ঘটনায় জড়িত বাল্কহেড।
তিনি আরো জানান, ডুবে যাওয়া ট্যাংকার উদ্ধার কাজ মালিক পক্ষ করছে। তারা কিভাবে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করবে সেটা জানায়নি। শুধু জানিয়েছে, স্যালভেজ টিম আসছে।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে ঘটনাস্থলে তাদের একটি ডুবুরি ও একটি টহল রয়েছে। তারা ডুবে যাওয়া ট্যাংকারের নিরাপত্তা দেয়াসহ উদ্ধার কাজে সহায়তা করবে।
ভোলার পূর্ব ইলিশা নৌ-পুলিশ ফাড়ির পরিদর্শক মো. আকতার হোসেন বিকেলে জানান, ট্যাংকারের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত বাল্কহেড চিহিৃত করা যায়নি। তাদের একটি টিম ডুবে যাওয়া ট্যাংকারের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।