রাজাপুরে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ রাজাপুরে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ - ajkerparibartan.com
রাজাপুরে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ

3:29 pm , December 19, 2022

বুলবুল আহমেদ, রাজাপুর ॥ রাজাপুর উপজেলার সোনারগাও (আরোয়া) হাছানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আ: ছালাম সিকদারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, কমিটি বিহীন নিয়োগ সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আঃ হাকিম সিকদার বাদী হয়ে বাংলাদেশ মাদ্রসা শিক্ষা বোর্ড এর মহাপরিচালক সহ স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে জানা যায়, মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৫ সালের ১ জানুয়ারী স্থানীয় সোয়াইব হোসেন জুনিয়র শিক্ষক পদে নিয়োগ পায়। নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পরে ৮/৯ বছর চাকুরী ছিল না। সে পুরানো ইনডেক্স ০৭৬৫৭৩ ব্যবহার করে ২০১২ সালের ১৯ এপ্রিল বর্তমান সুপার আঃ ছালাম সিকদারকে নিয়োগ দেন। প্রতিষ্ঠানটিতে ২০০০ সালের পহেলা জানুয়ারী থেকে ২০০৯ সালের ৬ অক্টোবর পর্যন্ত কোন কমিটি ছিলো না। অথচ প্রতিষ্ঠানটিতে তখন ২ জন শিক্ষক অবৈধভাবে নিয়োগ প্রদান করেন। ২০১০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ২০১২ সালের ৭ জানুয়ারী মাদ্রসার শিক্ষাবোর্ড কোন কমিটি অনুমোদন দেননি। এরপরে ২ বছরের জন্য কমিটি অনুমোদন দিলেও পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারী থেকে ২০১৯ সালের ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত কোন কমিটি অনুমোদন দেননি। এছাড়াও সুপার আঃ ছালাম সিকদার তার ভাই মোঃ আবুল কালামকে সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় প্রতিষ্ঠানে জুনিয়র মৌলভী পদে নিয়োগ প্রদান করেন। সরেজমিনে গেলে স্থানীয় খলিলুর রহমান সিকদার, জাহিদুল ইসলাম মোল্লা, রাজিব খান, আঃ মতিন সিকদার ও মারুফ সিকদারসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, মাদাসার সুপার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সময়ে পরিচালনা কমিটি না থাকা সত্ত্বেও ভুয়া কমিটি দেখিয়ে বেতন উত্তোলন ও নিয়োগ প্রদান করে আসছেন। এছাড়াও এলাকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাদ্রাসাটিতে কখন যে নিয়োগ টিয়োগ হয় তাও জানেন না এলাকাবাসী। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসার সুপার আঃ ছালাম সিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, “মাদ্রাসাটির বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ দিয়েছেন। বিভিন্ন সাংবাদিকরা লিখেছেন, অনেকবার তদন্তও হয়েছে। বর্তমানেও ইউএনও অফিসে তদন্তনাধীন রয়েছে। এটা বিচারে যা হয় মেনে নিবো।” এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা আলম জানান, “আমি উপজেলায় কিছুদিন হলো যোগদান করেছি, বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির সভাপতি আমি, ইতিমধ্যে আমি প্রতিষ্ঠানের সুপারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি। কাগজপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।”

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT