3:15 pm , December 2, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাবুগঞ্জে শ্বশুরের হামলায় জামাতা গুরুতর আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাবুগঞ্জ থানায় আহত জামাতা বাদী হয়ে শ্বশুরকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাবুগঞ্জ উপজেলা ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি ও বাবুগঞ্জ কলেজের উপাধাক্ষ্য গোলাম হোসেন এর ছোট বোন মরিয়ম বেগমের মেয়ে লাইজুন নাহারের সাথে সাইফুল হাওলাদার সোহানের পারিবারিক বিরোধ নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে সোহানকে ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের বাসিন্দা ও বাবুগঞ্জ স্টিল ব্রিজ এলাকার বাবুগঞ্জ বিল্ডার্স এর স্বত্বাধিকারীরা আরাফাত হোসেন ফরিদ মোবাইলে ফোন করে দোকানে ডেকে আনে। এসময় ফরিদ, বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের উপাধাক্ষ্য ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি গোলাম হোসেনকে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডেকে আনেন। পরে ফরিদ ও অধ্যাপক মোঃ গোলাম হোসেন সোহানকে আদালতের মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ার অধ্যাপক মোঃ গোলাম হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী সোহানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। সোহান গালি দিতে নিষেধ করায় তাঁকে গোলাম হোসেন এলোপাতারি কিল,ঘুষি ও চর দেয়। এমনকি দোকানের লোহার রড দিয়ে বাদীকে আঘাত করেন। এসময় তার সাথে হামলায় সরাসরি অংশগ্রহন করেন বাবুগঞ্জ বিল্ডার্স এর স্বত্বাধিকারী আরাফাত হোসেন ফরিদ। এক পর্যায়ে বিবাদীরা সাইফুল হাওলাদার সোহানের উপর হামলা করে তাকে গুরুতর আহত করেন। পরে বাদী সাইফুল হাওলাদার সোহান ডাকচিৎকার দিলে পথচারীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে প্রেরণ করেন। ভুক্তভোগী সাইফুল হাওলাদার সোহান বলেন, অধ্যাপক গোলাম হোসেন আমার স্ত্রীর মামা এবং আরাফাত হোসেন ফরিদ স্ত্রীর মামাতো ভাই। ২০১৮ সালে খানপুরা গ্রামের সুলতান আহমেদ এর মেয়ে লাইজুন নাহার পপির সাথে আমার বিয়ে হয়। বিবাহের পরে শান্তিপূর্ণ ভাবে ঘর সংসার করি। পরবর্তীতে আমার স্ত্রীর সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহের সৃষ্টি হয় এবং স্ত্রীর সাথে আমার সম্পর্কের অবনতি হয়। যা এক পর্যায়ে আদালত পর্যন্ত গড়ায়। যা এখনো আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। ওই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সাড়ে ১২ টার দিকে আরাফাত হোসেন ফরিদ ও আমার মামা শ্বশুর ধ্যাপক মোঃ গোলাম হোসেন বাবুগঞ্জ স্টীলব্রিজ এলাকায় বাবুগঞ্জ বিল্ডার্স নামে একটি দোকানে ডেকে এনে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলার বিষয়ে বিবাদী গোলাম হোসেন মারধরের কথা আস্বীকার করে বলেন, সাইফুল হাওলাদার সোহান বিভিন্ন সময় আমার আত্মীয় স্বজনদের গালাগাল করেন। তাই তাকে ধমক দিয়েছি মাত্র। তবে হামলার ঘটনা অস্বীকার করে আরাফাত হোসেন ফরিদ। তিনি বলেন, তাকে ডেকে এনে বুঝোনা হয়েছে। বাবুগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে হামলার ঘটনায় বাবুগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন কার হবে।