মেডিসিন ইউনিট স্থানান্তর না করায় ডা: আনোয়ার হোসেন বাবলুকে স্বাস্থ্য সচিবের ভর্ৎসনা মেডিসিন ইউনিট স্থানান্তর না করায় ডা: আনোয়ার হোসেন বাবলুকে স্বাস্থ্য সচিবের ভর্ৎসনা - ajkerparibartan.com
মেডিসিন ইউনিট স্থানান্তর না করায় ডা: আনোয়ার হোসেন বাবলুকে স্বাস্থ্য সচিবের ভর্ৎসনা

3:19 pm , December 1, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) নতুন ভবনে (কোভিড হাসপাতাল ভবন) মেডিসিন ইউনিট স্থানান্তর না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন। এ সময় হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. আনোয়ার হোসেন বাবলুকে ভর্ৎসনা করেন তিনি এবং হাসপাতাল পরিচালককে দ্রুত নির্দেশনা বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রদান করেন।
বৃহষ্পতিবার দুপুরে মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. একেএম আমিরুল ইসলামসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন। এসময় তারা হাসপাতালের পুরাতন ভবনের পূর্ব পাশে থাকা নতুন ভবন পরিদর্শন করেন এবং নির্দেশ দেয়ার পর দীর্ঘ ৪ মাসেও মেডিসিন ওয়ার্ড পুরাতন ভবন থেকে নতুন ভবনে স্থানান্তর না হওয়ার কারণ হাসপাতাল প্রশাসনের কাছে জানতে চান স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। তখন হাসপাতাল পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম উপস্থিত চিকিৎসক ও গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে জানান, নতুন ভবনটিতে যেটুকু সংষ্কার প্রয়োজন ছিলো তা করা হয়েছে, এখন স্থানান্তর করলেই হয়। তবে মেডিসিন ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা এখানে আসতে চাচ্ছেন না। এরপর তিনি মেডিসিন ওয়ার্ডের প্রধান ডা. আনোয়ার হোসেন বাবলুর নিকট এর কারণ জানতে চাইলে তিনি খোড়া যুক্তি দেয়া শুরু করলে সচিব ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি হাসপাতাল পরিচালককে দ্রুত সময়ের মধ্যে মেডিসিন ওয়ার্ড স্থানান্তর নির্দেশ দেন।
পুরাতন ও নতুন হাসপাতাল ভবন পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, শেবাচিম হাসপাতালে জনবলের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে, যে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। আর চিকিৎসকের সংকট বা আনা-নেয়ার বিষয়টি থাকলে সেটিও দেখা হবে।
নির্দেশনার পরেও মেডিসিন ওয়ার্ড স্থানান্তর না হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক কোন বিষয় রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে কিনা সেটি বলতে পারবো না। তবে ড্যাব (বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ) এর নেতারা সরকারি চিকিৎসক। তাদের প্রফেশনাল দিকগুলো দেখা প্রয়োজন, তারা যদি কোন ইগো ধরে রাখে সেটা অন্যায়। রোগীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো আমাদের দায়িত্ব। একটা হাসপাতাল ভবনের মধ্যে গাদাগাদি হয় দেখেই এটা করা হয়েছিলো। সুতরাং এখানে আসবে কি আসবে না এমন বিষয় থাকা উচিত নয়। এটা তো ইন্টারনাল ব্যাপার আমরা ঠিক করে ফেলবো।
আর হাসপাতালে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের অনিয়ম রোধের বিষয়ে তিনি বলেন, চতুর্থ শ্রেনীর লোকজন আর আমরা দিবোনা। তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের জিম্মি করে এমন অভিযোগ আমাদের কাছেও রয়েছে। এজন্য আমরা এখন থেকে আউটসোর্সিং করি। আউটসোর্সিং এ দিলে ভালো কাজ করলে থাকতে পারবে নয়তো পরের বছর পাল্টে দেয়া হবে। পরে তিনি বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করেন এবং কলেজের সভা কক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-চিকিৎসকসহ স্থানীয় চিকিৎসকদের সাথে বৈঠক করেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT