3:03 pm , November 28, 2022

ঝালকাঠি প্রতিবেদক ॥ ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের পরমহল গ্রামের সৈয়দা উম্মে কুলসুম এতিম খানায় ৭জন ছাত্রের মধ্যে ছাত্রের ৬ জনেরই মা বাবা জীবিত আছেন এবং এতিম খানায় ৪২ ছাত্রের ক্যাপিটেশন গ্রান্টপ্রাপ্ত দেখিয়ে সরকারী লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্যাপিটেশন গ্রান্টপ্রাপ্ত কল্পিত ৪২ জন ছাত্রের সরকারী অর্থ প্রাপ্তির পরিমান ১০লক্ষ ৮ হাজার টাকা। এতিম খানার সুপার মাওলানা আবুল বাসার জানান, এই এতিম খানায় এতিম আছে ৮৪ জন এবং ক্যাপিটেশন গ্রান্টপ্রাপ্ত ছাত্রের সংখ্যা ৪২ জন। ৮৪ জন ছাত্র নেই এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ৪২ জনের ক্যাপিটেশন পাওয়ার জন্য ৮৪ জন ছাত্র দেখাতে হয় এবং চেয়ারম্যান ফ্রি খাওয়ানোর প্রত্যয়ন দেন। কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক জানান,“এতিম খানায় মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৭ জন। ওই এতিম খানার ছাত্র মিরাজ সাংবাদিকদের ভিডিও বক্তব্যে বলেন মাদ্রাসায় মোট ৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে এবং তার বাবা ইয়াসিন গাবখান একটি ডেকোরেটরে বাবুর্চির কাজ করে।রিয়াদুল জানায় তার বাবাও জীবিত আছে। ঝালকাঠি সদরের স্বল্পসেনা মল্লিক বাড়ির আ: রফিকের পুত্র ইসমাইল জানায়, তার বাবা ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে চাকুরি করে এবং তার বড় ভাই কলেজে পড়ে। বালিঘোনা গ্রামের মামুনের পুত্র ইয়াসিন আরাফাত বলেন, তার বাবা বালিঘোনা একটি হোটেলে চাকুরি করে।এসকল শিক্ষার্থীগণ আরো জানায়, এতিম খানায় আলু ভর্তা ও ডাল পানি দিয়ে ভাত খাওয়ায় তবে মাঝে মধ্যে পাঙ্গাশ মাছ ও মাংস খেতে দেয়। ঝালকাঠি সমাজসেবার ডিডি শাহ পার পারভীন মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, “আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি, বিষয়টি যেহেতু আমি শুনেছি ঢাকা থেকে ফিরে ব্যবস্থা নিব।”