3:14 pm , November 27, 2022

মো. আফজাল হোসেন, ভোলা ॥ সারাদেশের চলা ধর্মঘটে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে দ্বীপ জেলা ভোলার মানুষ। বিচ্ছিন্ন জেলার যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে নৌযান। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ট্রলার ও স্প্রীডবোটে করেই পাড়ি দিতে হচ্ছে মেঘনা এবং তেতুলিয়া নদী। মধ্যরাত থেকে সারাদেশের সাথে ভোলার নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে জেলার প্রায় ২২ লাখ মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দেশের মূল ভূখন্ড থেকে। সরাসরি সড়ক পথে কোন যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই দ্বীপ জেলা ভোলার সাথে। সরেজমিন ভোলার ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায় মানুষের ভোন্তির চিত্র। মো. আলী এসেছেন তার অসুস্থ মাকে নিয়ে। উন্নত চিকিৎসা করতে তাকে দ্রুত বরিশাল যেতেই হবে। লঞ্চ বন্ধ, কোন উপায় না পেয়ে অসহায় এই মানুষটি শেষ পর্যন্ত ছোট ট্রলারে করেই অসুস্থ মাকে নিয়ে রওনা করেন। বিপাকে পড়েছে মেহেরপুর যাওয়ার আরেক যাত্রী মো. আশরাফ। সর্ব দক্ষিন চরফ্যাশন থেকে কোন মতে ভোলার ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট পর্যন্ত এসেছে। এখন লঞ্চ বন্ধ তাই ট্রলারেই যেতে হবে। টাকা যা ছিলো তার বেশির ভাগ শেষ। তাই ক্ষোভটাও বেশি। বলেন, সরকার সাধারন মানুষদের নিয়ে চিন্তা করে না। চিন্তা করলে আমাদের ভোগান্তি উপলদ্ধি করতেন। ঝালকাঠি যাবেন পরমুজুল হক। লঞ্চঘাটে এসেই চোখ কপালে উঠে গেছে নবজাতক শিশু নিয়ে কিভাবে ট্রলারে যাবেন এই চিন্তা করেই। নিরুপায় এই মা নবজাতক শিশুকেই নিয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রলারেই উঠেছেন। এভাবে একাধিক রোগী আসছে আর যাচ্ছে বরিশালে।
একদিকে অতিরিক্ত ভাড়া অপরদিকে ঘাটে হয়রানী। সবকিছু মিলিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার ভোলার মানুষ।