3:16 pm , November 17, 2022
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা দালালের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বরিশাল এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি। আগামী ২১ নভেম্বর সকাল ৮ টা থেকে সকল প্রকার এ্যাম্বুলেন্সে রোগী ও লাশ পরিবহন বন্ধ রাখার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এই আল্টিমেটাম দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বরিশাল এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেড এর উপদেষ্টা সদস্য জাকির হোসেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে একমাত্র রোগী পরিবহনের জন্য বৈধ সংগঠন বরিশাল এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেড। এই সংগঠনে বর্তমানে ১২০ জন সদস্য রয়েছে। আর এ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা ১৬০। এর মধ্যে প্রথম সারির এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টি।
দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসায় নাসির খান ও তার বাবা মোসলেম খান সহ ১০ থেকে ১২ জন দালাল চক্র এ্যাম্বুলেন্স মালিক, চালক ও হেলপারদের জিম্মি করে রেখেছে। এই দালাল চক্র আইনের তোয়াক্কা না করে তাদের খেয়াল খুশিমত কৌশল পরিরর্তন করে রোগী ও তার স্বজনদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করে বলেন, এই দালাল চক্র দীর্ঘদিন ধরে মাদক পরিবহনে এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করছে। এর মধ্যে একটি এ্যাম্বুলেন্স উত্তরবঙ্গের গিয়ে স্বজন ও চালকের সহায়তায় রোগী খুন হয়। যার কারনে এ্যাম্বুলেন্সটি কুষ্টিয়ায় আটক করা হয়। পরে তারা কৌশলে ছাড়িয়ে আনে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বরিশাল থেকে ঢাকায় রোগী পরিবহন এর জন্য মালিক সমিতি ভাড়া ১০ হাজার টাকা নির্ধারন করে। কিন্তু দালাল চক্র ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা ভাড়ায় রোগী তুলে দিচ্ছে। যে বাড়ায় রোগীর সাথে চুক্তি হয়, তার ৪০ শতাংশ ভাড়া পায় আর ৬০ শতাংশ দালাল চক্র নিয়ে যায়। এর ফলে রোগী পরিবহনে মালিকরা রোগী পায় না। এ অবস্থায় এ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা বন্ধের আশংকা করছেন তারা। সংবাদ সম্মলনের মাধ্যমে এই দালাল চক্রের মূলহোতা ও সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মো. ফিরোজ আলম, সহ সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম শাকিল, সদস্য হুমায়ুন কবীর, মাইনুল ইসলাম খান।