২২টি ল্যাপটপ চোর মুরাদুলের টার্গেট প্রধানশিক্ষক হওয়া! ২২টি ল্যাপটপ চোর মুরাদুলের টার্গেট প্রধানশিক্ষক হওয়া! - ajkerparibartan.com
২২টি ল্যাপটপ চোর মুরাদুলের টার্গেট প্রধানশিক্ষক হওয়া!

3:26 pm , November 15, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শিক্ষকতা মহান পেশা নিয়ে যে স্কুলে কর্মরত সেই স্কুল থেকে ২২টি ল্যাপটপ চুরি করে ধরা পড়ার পরও গত ৫ বছর ধরে বহাল তবিয়তে রয়েছেন শিক্ষক মুরাদুল হক। এরপর এক শিক্ষিকার সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে মুরাদুল। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে এন্তার অভিযোগ। ওই সকল অভিযোগ পাশ কাটিয়ে স্কুলে ‘ডাকাতি’ করতে প্রধানশিক্ষক হওয়ার মিশনে রয়েছেন তিনি। এমন লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে স্কুল সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে। ওই সকল ঘটনা ঘটানোর প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে বরগুনার পাথরঘাটার কেএম মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। মুরাদুল ওই স্কুলের বিএসসি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষনের জন্য সরকার থেকে দেয়া ২২টি ল্যাপটপ চুরি হয়। এ নিয়ে মামলা দায়ের হলে মুরাদুল চুরির বিষয়টি স্বিকার করে ওই ২২টি ল্যাপটপ ফেরত দেয়ার অঙ্গিকার করেন। এরপরও তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর মামলা দাায়ের হয়। কিন্তু ঘটনার ৫ বছর অতিবাহিত হলেও অধ্যবধি মুরাদুল একটি ল্যাপটপও স্কুলে ফেরত দেননি। বিভিন্ন সময় তাকে ল্যাপটপ ফেরত দিতে বলা হলে তিনি তাতে কোনভাবেই কর্ণপাত করছেন না। এভাবে কেটে গেছে ৫টি বছর। কিন্তু চোর শিক্ষক ওই ল্যাপটপ ফেরত না দিয়ে এখন প্রধানশিক্ষক হয়ে স্কুলে ‘ডাকাতি’ করার মিশনে রয়েছে বলে অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে ল্যাপটপ চুরি মামলার বাদী হয়েছে চোর শিক্ষক মুরাদুলের খালু ওই স্কুলের অপর শিক্ষক আব্দুর রহিম। এ কারনে তিনি তার ভায়রা পুত্রের পক্ষ নেয়ায় চোর ডাকাতে পরিণত হচ্ছে। এমনকি আত্মীয়ের পক্ষ নিয়ে শিক্ষক রহিম মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রেখেছেন বলেও জানা গেছে। অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করা হয় এ বছর ১ নভেম্বর একই স্কুলের এক সহকারি শিক্ষিকার সাথে মুরাদুলকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে স্থানীয়রা। পরবর্তীতে ৪০ হাজার টাকা জরিমানায় ছাড়া পান মুরাদুল। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরো ১১টি অপরাধের বিষয় তুলে ধরা হয়। চুরি এবং যৌনচার ছাড়াও তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও একটি গ্রুপ তাকে প্রধানশিক্ষক করার মিশনে নেমেছে। আর ওই মিশন সাকসেস হলে মুরাদুল স্কুলে ডাকাতি করা শুরু করবে বলে অভিযোগকারীদের অভিমত। এ জন্য অভিযোগকারীরা দুশ্চরিত্র চোর শিক্ষক মুরাদুলের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ স্কুল সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তরে পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মুরাদুলের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT