3:20 pm , November 15, 2022
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীতে দিনের বেলা বিভিন্ন ফ্ল্যাটসহ বাসা বাড়ীতে চুরি করা চক্রের মূল হোতা ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া তাদের কাছ থেকে চোরাই নগদ অর্থ ও মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. জাকির হোসেন মজুমদার। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর গ্রামের বাসিন্দা মো. খলিলুর রহমানের ছেলে খালিদ হোসেন ইমন (৩৪) এবং সহযোগি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার কয়ারচর গ্রামের জলিল মৃধার ছেলে বেল হোসেন মৃধা (২৫)।
এর মধ্যে ইমন চট্রগ্রামের একটি মামলায় ৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। এছাড়া তার বিরুদ্ধে চট্রগ্রামের বিভিন্ন থানায় আরো ৯ টি এবং বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপ পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন মজুমদার জানান, ইমন আন্ত:জেলা চোরাই চক্রের হোতা। দিনের বেলায় চুরি করে সে। চট্রগ্রামে একটি চুরি মামলায় দুই বছর সাজা ভোগ করার পর জামিনে বের হয়েছে। চট্রগ্রামের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে। তাই বরিশাল নগরীতে এসে অবস্থান করে। বর্তমানে এয়ারপোর্ট থানায়ও তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। এছাড়াও তার সহযোগী রুবেল হোসেন মৃধার নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা আছে।
তারা গত অক্টোবর মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত নগরীর কাশিপুর ফিসারী রোড এলাকায় ৭/৮ টি বাসায় চুরি করে বিপুল পরিমান স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়েছে।
তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার সকালে নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ড এলাকার মাওলানা ভাসানী সড়ক সোহরাব খান হাউজিং এর বাসিন্দা আলমগীর হোসেন আবিরের বাসা থেকে ইমন ও রুবেলকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে চোরাই নগদ ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার, ১৪ টি হাত ঘড়ি, ১ টি মোটরসাইকেল, ৮টি মোবাইল সেট,৩ টি এলইডি টিভি সহ বিপুল পরিমান চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়।
উপপুলিশ কমিশনার জানান, আটক দুই জনের বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় আরো একটি মামলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন এয়ারপোর্ট থানার ওসি হেলাল উদ্দিন, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমানুল্লাহ আল বারী।