নথুল্লাবাদে সড়কে বিশৃঙ্খলা অব্যবস্থাপনায় যানজটে নাকাল নগরবাসী নথুল্লাবাদে সড়কে বিশৃঙ্খলা অব্যবস্থাপনায় যানজটে নাকাল নগরবাসী - ajkerparibartan.com
নথুল্লাবাদে সড়কে বিশৃঙ্খলা অব্যবস্থাপনায় যানজটে নাকাল নগরবাসী

3:44 pm , November 10, 2022

সড়কে যাত্রী উঠানো-নামানোয় যানজটে দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর স্বাভাবিক কারনেই বরিশালসহ দক্ষিনাঞ্চলে যানবাহনের চাপ অনেকগুন বেড়েছে। নথুল্লাবাদ বাস শ্রমিক ইউনিয়ন বলছে, শুধু নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকেই সেতু চালুর পূর্বের চেয়ে দৈনিক শতাধিক ট্রিপ বেড়ে গেছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু নতুন কোম্পানীর বাস। সব মিলিয়ে দক্ষিনাঞ্চলের এই একমাত্র প্রবেশ পথটিতে এখন যানবাহনের আধিক্য চরমে। এই অসনীয় যানবাহন নিয়ে শুরু হয়েছে সড়কে বিশৃঙ্খল ও অরাজক পরিস্থিতি। একদিকে বাস পার্কিং এর জায়গার সীমাবদ্ধতা অন্য দিকে নিয়ম বহির্র্ভূত ভাবে মূল সড়কে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে যাত্রী ওঠা নামা করা সব মিলিয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ন এই প্রবেশ পথটিতে যানজট লেগেই থাকে। এক কথায় নগরীর গুরুত্বপূর্ন ও ব্যস্ততম এই স্ট্যান্ডটিতে চলছে চরম বিশৃঙ্খলা। বরিশাল ট্রাফিক বিভাগ বলছে, টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে বের হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কোন পরিবহন যাত্রী বহন করতে পারবে না। বিষয়টি নিয়ে তারা একাধিকবার বাস মালিক ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলেছেন এবং অনেক গাড়িকে মামলা দিয়েছেন। তারপরও বিষয়টি তারা গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষন করবেন। এদিকে শ্রমিক সংগঠন এমন অবস্থার জন্য দুষছেন ট্রাফিক বিভাগকে। তাদের দাবী ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বহীনতার কারনে এই রকম পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে।
পদ্মা সেতু চালু হবার পর শুধু নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দৈনিক শতাধিক বাসের ট্রিপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সাথে রয়েছে দক্ষিনাঞ্চলের অন্যান্য জেলা উপজেলা থেকে ছেড়ে আসা কয়েক‘শ বাস। এসব বাসের মধ্যে বেশীর ভাগই কিছু সময়ের জন্য হলেও নতুল্লাবাদ টার্মিনালের সামনে যাত্রা বিরতি করে। এই বিরতির সময় ৫ মিনিট থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই সময়ে এসব বাস যাত্রী ওঠা-নামা করে থাকে। এছাড়া টার্মিনাল থেকে যে সব বাস তথা পরিবহন ছেড়ে যাবার জন্য বের হয় তারাও সড়কে অবস্থান করে যাত্রী বহন করে। এতে করে এই টার্মিনালে দিন রাত যানজট লেগেই থাকে। গত কয়েক দিন ধরে সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে। নামিদামী কয়েকটি পরিবহন বাদে বেশীর ভাগ পরিবহনই ছাড়ার নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও সড়কে অবস্থান করে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করে। অভিযোগ রয়েছে শ্রমিক সংগঠন ও ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করে অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করেছে পরিবহনগুলো। জানতে চাইলে নথুল্লাবাদ বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ফরিদ হোসেন বলেন, আমরা কোন অনিয়মের সাথে সাথে জড়িত নাই। আমরা এই কাজের সমর্থন করি না। বিষয়টি দেখার দায়িত্ব ট্রাফিক পুলিশের। কিন্তু তারা বিষয়টি ভালো ভাবে দেখছেন না। তিনি বলেন, বাস এবং ট্রিপের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। কিন্তু জায়গা তো আর বৃদ্ধি পায়নি। তাই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করতে হবে।
নগর ট্রাফিকের পরিদর্শক আবদুর রহিম বলেন, টার্মিনাল থেকে বাস ছেড়ে রাস্তায় এক মিনিট দাঁড়ানোর নিয়ম নেই। ট্রাফিকের ১০ থেকে ১২ জন সদস্য প্রতিনিয়ত স্ট্যান্ডে দায়িত্বরত থাকে। যারা নিয়ম মানছে না তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিনিয়ত মামলা করছি। তারপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে থাকছে না। তিনি বলেন, চালকরা নিয়ম না মানার পাশাপাশি সমস্যার মূল কারণ হচ্ছে স্থান সংকট। নথুল্লাবাদ এমন একটি টার্মিনাল যেখানে গাড়ি প্রবেশ ও বের হবার জন্য একটি মাত্র পথ। যে কারনে সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে। তবে তার দাবী কোন পরিবহন নয়, লোকাল কিছু বাস রাস্তায় যাত্রী বহন করে থাকে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবো। বরিশাল মহানগর ট্রাফিক বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মো. তানভীর আরাফাত বলেন, নথুল্লাবাদের দিকে আমাদের বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে। বাস রাস্তায় দাঁড় করিয়ে যাত্রী বহনের সুযোগ নেই। তারপরও যাত্রীদের স্বার্থে দুই এক মিনিট সুযোগ দেই। কিন্তু সেই সুযোগটি যদি তারা বেশী সময়ের জন্য নিয়ে থাকে, তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, আশা করছি খুব কম সময়ের মধ্যে টার্মিনালটি কাশিপুর স্থানান্তরিত হবে। সেটি হলে আর কোন সমস্যা থাকবে না।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT