লালমোহনে যুবককে জিম্মি করে বিয়ে ॥ পুলিশের উদ্ধার লালমোহনে যুবককে জিম্মি করে বিয়ে ॥ পুলিশের উদ্ধার - ajkerparibartan.com
লালমোহনে যুবককে জিম্মি করে বিয়ে ॥ পুলিশের উদ্ধার

3:06 pm , October 30, 2022

লালমোহন প্রতিবেদক ॥ মেয়ে দেখাতে নিয়ে যুবক ও তার পরিবারকে আটক করে জোরপূর্বক অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক মেয়ের সাথে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে মেয়ের বাবা ও কাজীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ডাক্তার বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলামের  জিম্মিদশা থেকে যুবক রাসেল ও তার স্বজনদের উদ্ধার করে পুলিশ। আটক মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলাম ও কাজী মিজানুর রহমানকে রোববার সকালেই আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে আদালত উভয়কে জামিন দেন। মেয়ের বাবা রফিকুলইসলামের অভিযোগ, এ পর্যন্ত ৬ বার ছেলের পক্ষ মেয়ে দেখতে বাড়ি এসেছে। সর্বশেষ ফাইনাল করে শনিবার ছেলের মা, ভাই, ভাবিসহ ৯ জন আসে। বিয়ের জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। বাড়িতে সবাইকে ধুমধামে খাওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু শেষে ছেলে বিয়ে করবে না বলে জানায়। এতে মেয়ের ভবিষ্যৎ ও বাড়ির মানসম্মান নষ্ট হওয়ায় ছেলেকে বিয়ের জন্য রাখা হয়।
জানা গেছে , লালমোহন চরভূতা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মহেরুল্লাহ মুন্সিবাড়ির হাবিব মাস্টারের ছেলে রাসেল এর বিয়ের জন্য তার স্বজনরা পাত্রী খুঁজতে থাকে। রাসেল ও তার পরিবার ঢাকার মিরপুরে বসবাস করে। লালমোহন ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রফিক ডাক্তারের মেয়েকে রাসেলের স্বজনরা কয়েকবার দেখার পর রাসেল নিজে দেখার জন্য শনিবার বিকেলে রাসেল ও তার স্বজনরা ঢাকা থেকে এসে ওই বাড়িতে যায়।
রাসেল দাবী করেন, মেয়ে দেখে জানতে পারে সে এবছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় রাসেল তা প্রত্যাখ্যান করে ফিরে আসতে চায়। কিন্তু মেয়ের বাবা রফিক ডাক্তার রাসেল ও তার স্বজনদের আটকে রেখে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। বিয়ে করতে না চাইলে তাকে মারপিট করে জিম্মি করে। ওই ইউনিয়নের কাজী মিজানুর রহমানকে ডেকে নিয়ে তার সহায়তায় রাতেই বিয়ের কাবিননামায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় মেয়ের বাবা। এক পর্যায়ে রাত ১২ টা পর্যন্ত বিভিন্নভাবে উদ্ধার হতে ব্যর্থ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত থানা পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে রাসেল ও তার পরিবারকে উদ্ধার করে। আটক করা হয় মেয়ের বাবা ও কাজীকে। এ ঘটনায় রাসেলের ভাবি শাহিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় রফিক ডাক্তার, কাজীসহ ১০জনকে বিবাদি করা হয়েছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT