3:17 pm , October 29, 2022
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে ইলিশ শিকারে নেমে আশানুরূপ ইলিশ না মিললেও জেলেদের জালে ধরা পড়ছে বিশাল সাইজের পাঙ্গাস। প্রতিটি জালে ১৫ থেকে ২০টি করে পাঙ্গাস ধরা পড়েছে। যা প্রতিটি সর্বোচ্চ ২৫ কেজি থেকে সর্বনি¤œ ৫ কেজি ওজনের পাঙ্গাস।
তার সাথে বড় বড় সাইজের ইলিশ থেকে শুরু করে জাটকা ইলিশও ধরা পড়ছে। শনিবার সকাল থেকে নগরীর ইলিশ মোকাম পোর্ট রোডে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। দীর্ঘদিন ইলিশ শিকার বন্ধ থাকায় পোর্ট রোডের শ্রমিকদের অলস সময় কাটাতে হয়েছে। সেখান থেকে বের হয়ে ইলিশের সাইজ নির্ধারণ শুরু করে ট্রলার থেকে ইলিশ নামানো এবং পরিমাপ দিয়ে তা বরফজাত করাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। এরমধ্যে বড় বড় সাইজের পাঙ্গাস সকলের চোখমুখে এনে দিয়েছে বাড়তি আনন্দ।
মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকার করে পোর্ট রোডে ট্রলার নিয়ে আসা জেলে মোজাম্মেল হোসেন জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় পর পরই ট্রলার ছেড়ে নদীতে গিয়েছিলেন। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে তারা নদীতে জাল ফেলেন। তিন ঘন্টা পর জাল যখন উঠানো শুরু করেন, তখন তাদের কাছে মনে হয়েছে জাল ভর্তি ইলিশ। আনন্দে জাল উপরে আনার পর বড় বড় সাইজের পাঙ্গাস পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রথমবার তাদের এক জালে ছোট-বড় ২২টি পাঙ্গাস উঠেছে। এর সাথে বড় ও ছোট সাইজের ইলিশও ছিলো। তবে যে পরিমাণ ইলিশের আশা করেছিলেন তা ওঠেনি। তারা সর্বোচ্চ ২০ কেজি ওজনের পাঙ্গাস পেয়েছেন।
তিনি জানান, তিনবার জাল টেনে ৫৩টি পাঙ্গাস তুলেছেন। তবে জালে অনেকের চেয়ে তারা বেশি পাঙ্গাস শিকার করেছেন। এ মৌসুমে পাঙ্গাস ধরা পড়ার বিষয়টি তারা আগেভাগেই জানতেন। তবে এতো পাঙ্গাস উঠবে তা তারা আশা করেননি।
ভোলার তেতুঁলিয়া নদীতে ইলিশ শিকার শেষে পোর্ট রোডে আসা জেলে কাঞ্চন ঘরামী বলেন, ২৫ বছরের ধারণা থেকে বলতে পারি, এতো পাঙ্গাস আর কখনও ইলিশের জালে ওঠেনি। গত রাতে আমাদের আশা ছিল জাল ভরে বড় বড় সাইজের ইলিশ উঠবে। কারণ ২২ দিন জাল ফেলা হয়নি। এ কারণে ২২ দিনের ইলিশ রয়েছে নদীতে। কিন্তু আমাদের জালে ইলিশ ওঠেনি, উঠেছে পাঙ্গাস । ইলিশের দুঃখ পাঙ্গাস ভুলে গিয়েছি।
নগরীর পোর্ট রোডের আড়তদার জহির সিকদার বলেন, প্রতিটি ট্রলার থেকে ইলিশের সাথে সাথে বড় বড় সাইজের পাঙাস নামছে। একদিনে দুইশ’ মণের অধিক পাঙাস এসেছে। যারমধ্যে প্রতিটি সর্বোচ্চ ২৫ কেজি থেকে সর্বনি¤œ ৫ কেজি ওজনের পাঙাস। যা পাঁচশ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। জহির আরও বলেন, শনিবার দুই কেজি ওজনের ইলিশের মণ ৮০ হাজার টাকা, ১২শ’ গ্রাম ৫০ হাজার, কেজি সাইজের ৪৬ হাজার, রফতানিযোগ্য এলসি সাইজ ৩৮ হাজার এবং ভেলকা প্রতি মণ ৩২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।