3:50 pm , October 27, 2022
মো. আফজাল হোসেন, ভোলা ॥ নিষিদ্ধ সময় শেষ হতেই নদীতে জাল ও নৌকা নিয়ে নেমে পড়ার লক্ষ্যে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া পাড়ের জেলেরা। তাইতো ছেড়া জাল সেলাই করার কাজে ব্যস্ত তারা। তবে সরকারী অনুদান না পাওয়া আর কিস্তি এবং ধার দেনা পরিশোধ নিয়ে রয়েছে চরম ক্ষোভ। গত ৭ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের জন্য ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা, মজুদ, পরিবহন নিষিদ্ধ ঘোষনা করে মৎস্য অধিদপ্তর। এ কারণে বিশাল মেঘনায় নেই নৌকা। ফাঁকা মাছের আড়ৎ। কোন হাক ডাক না থাকলেও ২৮ অক্টোবর রাত ১২ টার পর থেকেই পুনরায় আড়তদার ও জেলে আর ক্রেতাদের পদচারনায় মুখরিত হবে এসব মাছঘাট। আজ মধ্য রাত থেকেই শেষ হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা।
জেলেরা জাল ও নৌকা নিয়ে ইলিশ শিকার নেমে পড়বে। তাইতো এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ছিড়ে যাওয়া জাল সেলাই করার কাজে। জেলার অন্তত আড়াই লাখ থেকে ৩ লাখ জেলে রয়েছে। যারা ইলিশ মাছের উপর নির্ভশীল। ১ লাখ ২৮ হাজার নিবন্ধিত জেলেরা পাচ্ছেন সরকারী অনুদানের চাল। তার পরেও বরাবরের মত পাওয়া না পাওয়া এবং আর ধার দেনা পরিশোধ নিয়ে চরম ক্ষোভ জেলেদের। বেশির ভাগ চাল বিক্রি হচ্ছে কালো বাজারে এবং পাচ্ছেন চেয়ারম্যান, মেম্বারদের ঘনিষ্টজন আর রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। প্রকৃত জেলেরা পাচ্ছে খুবই কম বলে। মাঝি তোফায়েল রাঢ়ী বলেন, আমাদের বক্তব্য নিয়া কি করবেন। নেতা আর চেয়ারম্যান মেম্বাররা সব খাইবো। সবাই ম্যানেজ হন, সবই আমরা জানি ও বুঝি। একই ধরনের ক্ষোভ প্রকাশ করেন মো: হাসেম ও ইউসুফ মাঝি। সমিতি আর দোকানের টাকা পরিশোধ নিয়ে রয়েছে চিন্তা। জেলেদের সঠিক তালিকা করে ভুয়া জেলেদের বাদ দিয়ে সুষ্ঠু বন্টনের দাবী অসহায় সাধারন জেলেদের।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্ল্যাহ বলেন, সারা বছরই ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ে। শতভাগ ইলিশ যে ডিম ছাড়বে এটা সঠিক নয়। ইলিশের ডিম ছাড়ার জন্য নদীর সকল ধরনের নিষিদ্ধ জাল অপসারন করার চেষ্টা করেছি। প্রায় শেষের দিকে। বাকী যা আছে আশা করি দ্রুত শেষ হবে। খুটি মুক্ত মেঘনা এখন। অপর এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, জেলেদের চাল বিতরনে অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।