3:38 pm , October 26, 2022
বিএনপির মাঠে নামার কথা শুনলে বাস-লঞ্চের মালিকরা ভয় পায় : নানক
পরিবর্তন ডেস্ক ॥ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এখন সংবিধান পরিবর্তনের কথা বলে। সংবিধান পরিবর্তনের দুঃসাহস কি করে হলো তা আওয়ামী লীগ ডিসেম্বরেই বুঝিয়ে দেবে। এ পবিত্র সংবিধান লাখো শহীদের রক্তে মাখা। অনেক কচুকাটা করা হয়েছে। সংবিধানকে বাংলার জনগন আর কচুকাটা করতে দেবে না। আজ বুধবার দুপুরে খিলগাঁও মডেল কলেজ মাঠে থানা আওয়ামী লীগ ও ১, ২, ৩, ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। খিলগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি লায়ন শরীফ আলী খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। এতে সম্মেলন বক্তা ছিলেন ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী। সম্মেলনের উদ্ধোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। এছাড়া বক্তব্য রাখেন দক্ষিণের সহসভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাত, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন প্রমূখ।মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, তত্বাবধায়ক সরকারের ভূত মাথা থেকে নামান। এই ভূত বাংলার মানুষ ও উচ্চ আদালত নিষিদ্ধ করেছে। রির্জাভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোন মুখে রিজার্ভের কথা বলেন? বৈশি^ক সংকটের মধ্যেও আমাদের রিজার্ভ ৩৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি। বিএনপির আমলে ছিল মাত্র ৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপির এক জনপ্রতিনিধির জনগনের ধাওয়া খেয়ে দৌড়ের কথা মনে নেই? বৈশি^ক সংকটের আগে দেশে বিদ্যুতের অভাব ছিল না। অথচ বিএনপির আমলে বিদ্যুৎ ছিল না, ছিল শুধু খাম্বা। বিএনপি চলে লন্ডনের রিমোট কন্ট্রোলে। ওখান থেকে অর্ডার দেয়, ফরমায়েস করে। মির্জা ফখরুল এখানে নাচে। বিএনপির আন্দোলনের নেতা কে, নির্বাচনের নেতা কে- এই জবাব কিন্তু এখনো পাইনি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুই তিনটা সমাবেশ করে মির্জা ফখরুলের ভাবটা এমন যেন তারা ক্ষমতায় এসেই গেছে। এত সোজা নয়। ডিসেম্বরে বিজয়ের মাসে খেলা হবে। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে বিএনপি জনসভা করেছে। খিলগাঁওয়ের এই সম্মেলনে যে উপস্থিতি হয়েছে, তার তিনভাগের একভাগ লোকও তাদের জনসভায় হয়নি। এসময় সাবের হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই এলাকায় নবজাগরণ তৈরী হয়েছে। সাবের হোসেন সত্যিকার অর্থে জনপ্রিয় নেতা। এই সম্মেলনে এত লোক দেখে আমি অভিভূত। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, শৃঙ্খলা আর দলের নিয়মকানুন মেনে চলুন। দলটাকে বাঁচান। টাকা পয়সার লেনদেন বন্ধ করেন। টাকা দিয়ে কমিটি করা বিএনপির প্রাকটিস, আওয়ামী লীগের না। এই নগরীতে মনোনয়ন ও কমিটি বানিজ্য হয়েছে। শেখ হাসিনার নির্দেশ এই প্র্যাকটিস চিরতরে বন্ধ করতে হবে। সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপির মাঠে নামার কথা শুনলে বাস-লঞ্চের মালিকরা ভয় পায়। বিএনপি-জামায়াত অগ্নি সন্ত্রাস করে বাসে, লঞ্চে, গাড়িতে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়েছে। বাস পুড়িয়েছে, লঞ্চ পুড়িয়েছে, রেল পুড়িয়েছে। তাদের শঙ্কা বিএনপি আবার যদি আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারে। সেজন্যই পরিবহন বন্ধ করে দেয় মালিকরা।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি আবারও সন্ত্রাসী কর্মকা- করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। সমাবেশের নামে তারা বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসীকর্মকা- করে। তাদেরকে প্রতিহত করতেই হবে। এজন্য তিনি নেতা কর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ এবং সতর্কতার আহ্বান জানান। সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বিভিন্ন সময় আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাই। অনেকের নামে ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজি এবং দখলদারের অভিযোগ পাই। আগামীতে এদেরকে দল থেকে বের করে দিয়ে যোগ্য এবং দক্ষ নেতৃত্বকে দিয়ে দল গঠন করা হবে। তাহলে আমরা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে পারব।