সিত্রাং এর প্রভাব কেটে স্বাভাবিক হচ্ছে বরিশাল  সিত্রাং এর প্রভাব কেটে স্বাভাবিক হচ্ছে বরিশাল  - ajkerparibartan.com
সিত্রাং এর প্রভাব কেটে স্বাভাবিক হচ্ছে বরিশাল 

2:55 pm , October 25, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঘূর্নিঝড় সিত্রাং এর প্রভাব কেটে স্বাভাবিক হচ্ছে বরিশাল নগরীসহ জেলার ১০ উপজেলার মানুষ। মেঘ কেটে রৌদ্রের দেখা মিলেছে। নৌ-যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে আশ্রয় নেয়া মানুষ।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উপ সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কুদ্দুস জানান, সিত্রাং এর প্রভাব কেটে গেছে। ঘূর্নিঝড়ের প্রভাবের পর ঝড়-বৃষ্টির আশংকা থাকে। তাই এখনও ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।  তিনি জানান, সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশাল নগরীসহ জেলায় ৩২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।  মেঘ কেটে সকাল ৯টার পর রৌদ্রের দেখা মিলেছে।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক জানান, মঙ্গলবার সকাল আটটার পর বরিশাল-ঢাকাসহ অভ্যন্তরীন নৌ-রুটের লঞ্চসহ নদী পথে সকল নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।  অভ্যন্তরীন রুটের লঞ্চ, স্প্রীড বোট ও খেয়া চলাচল শুরু হয়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভেয়ার মশিউল আলম বলেন, কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল আটটায় কীর্তনখোলা নদীর পানি ২ দশমিক ৮৫ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হয়েছে। এ নদীর বিপদসীমা হলো ২ দশমিক ৫৫ মিটার।
বৃষ্টি ও নদীর পানি বেশি থাকায় নগরীর বিভিন্ন সড়কসহ নি¤œাঞ্চলের পানি আটকে পড়ে রয়েছে। এতে অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছে।
বরিশাল পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির জানান, তার আওতাধীন বরিশাল সদর উপজেলা, বাকেরগঞ্জ, হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলায় বিদ্যুত সরবরাহ শুরু হয়েছে।
তিনি জানান, পাঁচ উপজেলায় মোট তিন লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। বেলা ১১টা পর্যন্ত ৩০ হাজার গ্রাহকদের বিদ্যুত সরবরাহ করা হয়েছে।
অন্যান্য গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহে ছিড়ে পড়া তার মেরামত, ত্রুটি সমাধান ও তারের উপর পড়ে থাকা গাছ এবং ডাল অপসারণের কাজ চলছে। এগুলো সম্পন্ন হলে সংযোগ চালু হবে। কতক্ষন সময়ের মধ্যে তা সম্ভব হবে নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
বরিশাল পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার মৃদুল কান্তি চাকমা বলেন, তার অধীনে বাবুগঞ্জ, গৌরনদী, বানারীপাড়া, উজিরপুর ও আগৈলঝাড়া উপজেলার মোট তিন লাখ ১০৪ জন গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার গ্রাহকের মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হয়েছে।
তিনি জানান, তার অধীনে ১২টি সাব ষ্টেশনের মধ্যে তিনটির আংশিক চালু হয়েছে। অন্যগুলো দ্রুত চালু করার চেষ্টা চলছে।
বরিশাল নগরীর ২৩টি বিদ্যুৎ ফিডার চালু রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুত সরবরাহকারী ওয়েষ্টজোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এটিএম তারিকুল ইসলাম। তিনি জানান, সকল ফিডার চালু রয়েছে। তবে একটি এলাকার সংযোগ চালু হয়নি। সেখানে ত্রুটি মেরামত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ চালু হয়ে যাবে।
বরিশাল জেলার কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল মারুফ বলেন, আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্র থেকে মানুষ ফিরতে শুরু করেছে। জেলার ৫৪১টি আশ্রয় কেন্দ্র ১৬ হাজার ৮৭৯ জন আশ্রয় নিয়েছিলো। গবাদি পশু নিয়েছিলো ৪ হাজার ৯২৯টি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT