বরাদ্দের চাল দ্রুত পেতে চান লালমোহনের জেলেরা বরাদ্দের চাল দ্রুত পেতে চান লালমোহনের জেলেরা - ajkerparibartan.com
বরাদ্দের চাল দ্রুত পেতে চান লালমোহনের জেলেরা

3:42 pm , October 7, 2022

লালমোহন প্রতিবেদক ॥ ইলিশের প্রধান প্রজনন সময় নিশ্চিত করতে ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন লালমোহনের প্রায় ৩০ হাজার জেলে। এতে অভাব-অনটন আর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটতে শুরু করেছে জেলেদের। তবে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিকেই সরকারি বরাদ্দকৃত চাল হাতে পেতে চান তারা। উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্য মতে, লালমোহনে নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ২৩ হাজার ১৭৮ জন। তবে প্রকৃত সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজারের মত। ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন লালমোহনের মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। উপজেলার বিভিন্ন মৎস্যঘাট ঘুরে দেখা যায়, ইলিশ ধরা বন্ধ তাই ঘাটে ভেড়ানো হয়েছে শত শত মাছ ধরা নৌকা-ট্রলার। এ সময়ে জেলেদের মধ্যে কেউ জাল বুনছেন, আবার কেউ ঘাটে অলস সময় পার করছেন। কেউ কেউ ব্যস্ত নৌকা-ট্রলার মেরামতে। লালমোহনের জেলেরা বলছেন, প্রতিবারই নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের হাতে চাল পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। এতে তাদের ধার-দেনা করে চলতে হয়। দেনার দায়ে বার বার সংকটে পড়তে হয় এসব কর্মহীন জেলেদের। তাই এবছর দ্রুত সময়ে সরকারি বরাদ্দের চাল বিতরণের দাবী তাদের। উপজেলার বাত্তির খাল মৎস্য ঘাটের জেলে মো. মফিজ বলেন, মাছ ধরা বন্ধ তাই ঘাটে ট্রলার নোঙর করেছি। এখন ইঞ্জিন মেরামত করছি। আরেক জেলে আবুল কালাম বলেন, মাছ ধরেই স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের ৫ সদস্যের সংসার চালাতে হয়। ইলিশ ধরা বন্ধ, তাই দ্রুত আমাদের বরাদ্দের চাল বিতরণের দাবী জানাচ্ছি। এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রুহুল কুদ্দুস জানান, নিষেধাজ্ঞার সময়ে ২৫ কেজি করে সরকারিভাবে চাল বরাদ্দ রয়েছে। খুব দ্রুত জেলেদের মাঝে বরাদ্দের চাল বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT