বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধি আশির্বাদ জেলেদের জালে রুপালী ইলিশ বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধি আশির্বাদ জেলেদের জালে রুপালী ইলিশ - ajkerparibartan.com
বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধি আশির্বাদ জেলেদের জালে রুপালী ইলিশ

3:36 pm , September 13, 2022

মো. আফজাল হোসেন, ভোলা ॥ হঠাৎ করে নিন্মচাঁপ আর নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি যেন মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর জেলেদের জন্য আশির্বাদ হয়ে এসেছে। দীর্ঘদিন ইলিশের দেখা না মিললেও নি¤œচাপের শুরতেই জালে ধরা দিতে শুরু করেছে কাংখিত ইলিশ। সরগম হয়ে উঠেছে মাছের আড়তগুলো।
ইলিশের মৌসুম শেষের দিকে। অথচ দেখা মিলছিলো না রুপালী সেই ইলিশের। সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়লেও ভোলার দুই পাশের মেঘনা ও তেতুলিয়ার জেলেদের জীবন কাটছিলো ধার দেনা করে। তবে নি¤œচাপ সাথে শুরু হলো বৃস্টি আর বৃস্টি। উত্তাল মেঘনা আর সেই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে নদ-নদীর পানি। তাই তো ইলিশ সাগর থেকে মিষ্টি পানির নদী মেঘনা ও তেতুলিয়ায় উঠতে শুরু করেছে। যা জেলে ট্রলারের আনাগোনা আর নদীর পাড়ের মাছের আড়ৎ গুলোর হাকডাকেই বুঝা যায়। ব্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলে ও আড়তদাররা। যেভাবে ইলিশ ধরা পড়ছে তা অব্যাহত থাকলে ধার দেনা পরিশোধ করতে পারবে বলে জানালেন মেঘনা নদীর জেলে মো. ইব্রাহিম। তার মতে ধারদেনা করে চলতে হয়েছে। এখন যেভাবে ইলিশ জালে দরা পরছে তাতে আশা করছি দেনা পরিশোধ করা সম্ভব হবে। একই কথা বলেন মোঃ কাসেম মিয়া। তবে সমস্যার কথা বল্লেন, হালিম মাঝি। তার মতে মেঘনায় অন্তত দের থেকে আড়াইশর বেশি পিটানো জাল আছে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের। এরা জাটকা ইলিশ ধরে সব শেষ করে দিচ্ছে। এসব জাল নদী থেকে তুলে দেয়ার দাবী জানান।
এদিকে আড়তদার মোঃ বাচ্চু বলেন, বহুদিন মাছ ধরা পড়েনি। বৃষ্টি কম থাকায় ইলিশ কম পানিতে আসেনি। নি¤œচাঁপ আর নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি আমাদের জন্য আর্শিবাদ হয়েছে। আশা করছি মুক্ত হব মহাজনদের দাদন থেকে। তবে বৃস্টি কম হওয়ায় নদীতে ইলিশ ছিলো না। শুধু সাগরেই ইলিশ ছিলো।
সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়লেও ভরা মৌসুমে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে ইলিশের দেখা না পাওয়ার জন্য নদীতে পলি জমে ভরাট হওয়া, কম বৃষ্টি হওয়াকে দায়ী করলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ। তিনি আশা করছেন, ইলিশের জন্য দরকার পানির গভীরতা। তা ছিলো না। এখন পানি বৃদ্ধি পাওযায় সাগর থেকে ইলিশ মিষ্টি পানির নদীতে উঠতে শুরু করেছে। তিনি আশা করছেন, জেলেরা তাদের ধারদেনা পরিশোধ করতে পারবে আর সরকারী ১ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টণ লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হবে বলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশা করছেন।
এদিকে ভোলার সচেতন মহল মনে করছেন দ্রুত নদীর প্রতিবন্ধকতা দুর করে, নিষিদ্ধ জাল অপসারনের মাধ্যমে ইলিশের গতি ঠিক রাখতে পলিমাটি অপসারন করা জরুরী। একই সাথে নদী দখলে রাখা সকল নিষিদ্ধ জাল গুলো তুলে দেয়ার দাবী জানিয়েছেন সরকারের প্রতি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT